‘তারুণ্য উৎসব’ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহে পিঠা মেলা, র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয় সরকারি কেশবচন্দ্র (কেসি) কলেজ। যুবক যুবতীদের কন্ঠে ছিল তারুণ্যের গান, পরণে বাসন্তির সাজ্ব। উৎসব আর উচ্ছাসে একাকার হয় তারুণ্যের মেলবন্ধন।বুধবার সকাল ৯টায় উৎসব উপলক্ষে কেসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য রালি বের হয়। র্যালীতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে র্যালি শেষ হয়।
র্যালি শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মো. ইউনুস আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল মতিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইমরান কবির, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আলমগীর হুসাইন, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নুসরাত জাহান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শিমুল আল মাসুদ ও ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম মাহবুব ইসলাম। আলোচনা সভা শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে কেসি কলেজ ডিবেটিং ক্লাবের আয়োজনে সমসাময়িক বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এদিকে পিঠা মেলায় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে গ্রমীন আবহ তৈরী করেন। স্টলগুলোতে চিতই পিঠা, ভাপাপুলি, পাকান, কাটাপাকান, তারাপিঠা, রসমঞ্জুরি, ইলিশপাকান, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, দুধচিতই সহ হরেক পদের পিঠা শোভা পায়। পিঠার স্টলগুলোতে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেসি কলেজের শিক্ষার্থী তনিমা, নিলীমা, জান্নাতুল ফেরদৌস, সাকিব ও হৃদয় আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও দিনব্যাপী পিঠা মেলা জাঁকজমক ভাবে শুরু হয়। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে এবার শিক্ষার্থীরা ভয়হীন ভাবে উৎসব পালন করে। শিক্ষার্থীরা সারাদিন আনন্দ উৎসব শেষে বসন্তের আমেজ নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
সবুজদেশ/এসইউ