ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে থাকার কথা ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’, অথচ ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

করোনাভাইরাস থেকে সতর্কতার জন্য ঝিনাইদহে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ ব্যবসাও করছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনে (রোগ সংক্রমণের শঙ্কায় পৃথক রাখা) থাকা ব্যক্তিদের বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, আজ শনিবার পর্যন্ত ঝিনাইদহে ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নতুন করে আর কাউকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়নি। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে জেলা সদরের ২ জন, কালীগঞ্জের ১৩ জন ও মহেশপুরের ৫ জন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা শিরিন বলেন, কালীগঞ্জে আমেরিকা থেকে আসা এক নারী প্রথমে যে গ্রামে উঠেছিলেন, সেখান থেকে তিনি অন্যত্র চলে গেছেন। তবে কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের ওই পরিবারের ১৩ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, ভারত থেকে এক ব্যক্তি মহেশপুরে ফিরেছেন। ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর আগে ইতালি থেকে জেলা শহরে ফেরা দুজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ১৪ দিন করে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বেশির ভাগই নানা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। কালীগঞ্জের যে পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, ওই পরিবারের গৃহকর্তাকে আজ দোকানে বসে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ওই গৃহকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসা না করলে তিনি পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবেন। তবে হাসপাতাল থেকে তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর করা হচ্ছে। ঘন ঘন হাত ধুতে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা শিরিন বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। সব সময় তাদের বাড়িতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে তাদের ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, যে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের বাড়ির বাইরে না যেতে বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে অসম্ভব তাদের আটকে রাখা।

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিদিনই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা খোঁজ রাখছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, নতুন করে আর কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়নি।

ভিডিও দেখুন…

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
৩৯৬ Time View

ঝিনাইদহে থাকার কথা ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’, অথচ ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

করোনাভাইরাস থেকে সতর্কতার জন্য ঝিনাইদহে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ ব্যবসাও করছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনে (রোগ সংক্রমণের শঙ্কায় পৃথক রাখা) থাকা ব্যক্তিদের বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, আজ শনিবার পর্যন্ত ঝিনাইদহে ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নতুন করে আর কাউকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়নি। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে জেলা সদরের ২ জন, কালীগঞ্জের ১৩ জন ও মহেশপুরের ৫ জন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা শিরিন বলেন, কালীগঞ্জে আমেরিকা থেকে আসা এক নারী প্রথমে যে গ্রামে উঠেছিলেন, সেখান থেকে তিনি অন্যত্র চলে গেছেন। তবে কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের ওই পরিবারের ১৩ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, ভারত থেকে এক ব্যক্তি মহেশপুরে ফিরেছেন। ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর আগে ইতালি থেকে জেলা শহরে ফেরা দুজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ১৪ দিন করে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বেশির ভাগই নানা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। কালীগঞ্জের যে পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, ওই পরিবারের গৃহকর্তাকে আজ দোকানে বসে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ওই গৃহকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসা না করলে তিনি পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবেন। তবে হাসপাতাল থেকে তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর করা হচ্ছে। ঘন ঘন হাত ধুতে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা শিরিন বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। সব সময় তাদের বাড়িতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে তাদের ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, যে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের বাড়ির বাইরে না যেতে বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে অসম্ভব তাদের আটকে রাখা।

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিদিনই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা খোঁজ রাখছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, নতুন করে আর কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়নি।

ভিডিও দেখুন…