ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে দাফনের ২ মাস পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

আদালতের নির্দেশে ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। দাফনের ৬১ দিন পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের ১৯ মাইল এলাকার কবরস্থান থেকে সোহানের লাশ উত্তোলন করে। সোহান সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় সোহানের। ২১ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তার লাশ ঝিনাইদহের নগরবাথান গ্রামে সোহানের দাফন করে। লাশ দাফনের পর সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রচার হলে ঝিনাইদহ আদালতে সোহানের পিতা শহিদুল ইসলাম ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে ঝিনাইদহ সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

সোহানের বাবা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটনানো হয়।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম আরো জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার ৩’শ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের পিতা সাকিবকে ফোন করে। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের পিতাকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোহানের পিতা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। সোহানের পিতা আরো অভিযোগ করেন হাসপাতালে থাকতেই সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোন ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন। এছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেন পুলিশ গেলে আমি যেন তাদের বলি সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের এসআই শরীফ হোসেন জানান, আদালতে এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
২৬ Time View

ঝিনাইদহে দাফনের ২ মাস পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন

আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আদালতের নির্দেশে ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। দাফনের ৬১ দিন পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের ১৯ মাইল এলাকার কবরস্থান থেকে সোহানের লাশ উত্তোলন করে। সোহান সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় সোহানের। ২১ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তার লাশ ঝিনাইদহের নগরবাথান গ্রামে সোহানের দাফন করে। লাশ দাফনের পর সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রচার হলে ঝিনাইদহ আদালতে সোহানের পিতা শহিদুল ইসলাম ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে ঝিনাইদহ সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

সোহানের বাবা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটনানো হয়।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম আরো জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার ৩’শ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের পিতা সাকিবকে ফোন করে। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের পিতাকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোহানের পিতা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। সোহানের পিতা আরো অভিযোগ করেন হাসপাতালে থাকতেই সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোন ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন। এছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেন পুলিশ গেলে আমি যেন তাদের বলি সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের এসআই শরীফ হোসেন জানান, আদালতে এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।

সবুজদেশ/এসএএস