ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি-

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন হোসেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মকজেল হোসেনের ছেলে।

রোববার (৪ মে) ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ দণ্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারি রতন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আলফাজ আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার দুদিন পরে ৭ এপ্রিল নিহত আলফাজের বাবা আনজের মন্ডল বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর -এসসি ৭৫/২০০০।

পরে হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন আলফাজ আলী মন্ডল (৪০) বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর ফেলে চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন আলফাজ আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

ওই সময় আশেপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে রাস্তায় আলফাজ আলী মন্ডলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহত আলফাজের বাবা আনজের মন্ডল। এজাহারে দাবি করা হয়, চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার লোকজনকে দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় আলফাজের চাচাতো শ্যালক সারজন আলী। আলফাজ আলীর সঙ্গে তার চাচাতো শ্যালক সারজনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল।

ওই মামলার তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের শিকার আলফাজ আলী মন্ডলের চাচা শ্বশুর মকজেল হোসেনের ছেলে সারজন আলীকে আসামী করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

মামলা দায়েরের পরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা চরমপন্থী নেতা হানিফ গত ২১ ফেব্রুয়ারি শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে সংঘটিত ট্রিপল মাডারে নিহত হন।

সবুজদেশ/এসইউ

ঝিনাইদহে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালকের যাবজ্জীবন

Update Time : ০৯:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন হোসেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মকজেল হোসেনের ছেলে।

রোববার (৪ মে) ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ দণ্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারি রতন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আলফাজ আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার দুদিন পরে ৭ এপ্রিল নিহত আলফাজের বাবা আনজের মন্ডল বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর -এসসি ৭৫/২০০০।

পরে হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন আলফাজ আলী মন্ডল (৪০) বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর ফেলে চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন আলফাজ আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

ওই সময় আশেপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে রাস্তায় আলফাজ আলী মন্ডলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহত আলফাজের বাবা আনজের মন্ডল। এজাহারে দাবি করা হয়, চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার লোকজনকে দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় আলফাজের চাচাতো শ্যালক সারজন আলী। আলফাজ আলীর সঙ্গে তার চাচাতো শ্যালক সারজনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল।

ওই মামলার তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের শিকার আলফাজ আলী মন্ডলের চাচা শ্বশুর মকজেল হোসেনের ছেলে সারজন আলীকে আসামী করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

মামলা দায়েরের পরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা চরমপন্থী নেতা হানিফ গত ২১ ফেব্রুয়ারি শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে সংঘটিত ট্রিপল মাডারে নিহত হন।

সবুজদেশ/এসইউ