ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদী দখলকারীর তালিকায় ৭৩ জনের নাম

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে নদী ও খাল দখলকারী হিসেবে ৭৪৪ জন চিহ্নিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের মত বুধবার নবগঙ্গা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডর তালিকা মোতাবেক নবগঙ্গা নদীর জমি দখল করে ৭৩ জন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। এ সব স্থাপনা দ্বিতীয় দিনের মতো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডর এসডি ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শৈলকুপার কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, কোটচাঁদপুরের চুঙ্গার বিল, হরিণাকুন্ডুর রামনগর সাতব্রীজ এলালায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে আছে ৬৭১ জন দখলদার। ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী দখলদারদের উচ্ছেদের পর কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, চুঙ্গার বিল ও রামনগর সাতব্রীজ এলালায় অভিযান চালানো হবে। এই উচ্ছেদ অভিযানে ভবন ভাঙ্গা বা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

নবগঙ্গা নদী দখলদারদের হিসেবে যারা চিহ্নিত হয়েছেন তারা হলেন, চাকলাপাড়ার মশা দাস, সদানন্দ দাস, আন্তারাম দাস, রাধা দাস, পলাশ কুমার সাহা, মিন্টু দাস, কান্ত দাস, স্বরজিৎ কুমার বিশ্বাস, গোবিন্দ শর্মা, রমেশ কুন্ডু, স্বরসতি অধিকারী, পলাশ, বুদ্ধি দাস, পিযুস দাস, বিশ্বনাথ দাস, ফকির চাঁদ, মনিরুল ইসলাম, সুজিত কর্মকার, গিলাবাড়িয়ার সুকুমার বিশ্বাস, বাড়ি বাথানের সিদ্দিক, পুরাতন হাটখোলার দেবু দাস, তোয়াজ উদ্দীন, বাবলু, রেজাউল, রফিকুল, মর্জিনা বেগম, আমানুল্লাহ, ভোলা রুদ্র, ভুটিয়ারগাতির উৎপল, আমিরুল ইসলাম, আসালত, ইকবাল হোসেন, সানু, খোর্দ ঝিনাইদহের অসীম কুমার মিত্র, আনোয়ারুল কাদের জোয়ারদার, গীতাঞ্জলী সড়কের উৎপল সরকার, ক্যাসেল ব্রীজ এলাকার বন্ধন শিল্পগোষ্ঠি, রহমান হোমিও, উজ্জল স্টুডিও, রহমান হোমিও, অডিও চয়েস, মনি সাউন্ড, সুর তরঙ্গ, লিপু রেডিও, সুমন ডিজিটাল, ড্রইট সাউন্ড, বাঁধন ফার্মেসি, মনিরা ফার্মেসি, মা বিপনী, কেচি গেট দোকান, পবহাটী গ্রামের রিপন, মাসেদা খাতুন, নাছির উদ্দীন, দুলাল, জাহিদুল, ইসমাইল, কাজী আমির হোসেন, পবহাটী শেখ পাড়ার আমির, আরাপপুরের ওহিদুল, আশরাফুজ্জামান, কে এস জাহাঙ্গীর, মশিয়ার, আমানুল্লা, আকরাম, শাহানাজ পারভিন, মাহবুবুল ইসলাম, মাষ্টার পাড়ার, শহিদুল, সত্তেন মাষ্টার, আরাপপুর পশ্চিমপাড়া বটতলার তাজ উদ্দীন, ডাক্তার আলাউদ্দীন ও জুয়েল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব সাক্ষরিত তালিকা তেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সেলিম রেজা জানান, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে নদীর সীমানা নির্ধারন করে দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। কাজেই এই তালিকা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তারা বলেন, শৈলকুপার কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, কোটচাঁদপুরের চুঙ্গার বিল, হরিণাকুন্ডুর রামনগর সাতব্রীজ এলালায়ও নিরপেক্ষ ভাবে সার্ভে করে দখলদার চিহ্নি করা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০
৭১৭ Time View

ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদী দখলকারীর তালিকায় ৭৩ জনের নাম

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে নদী ও খাল দখলকারী হিসেবে ৭৪৪ জন চিহ্নিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের মত বুধবার নবগঙ্গা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডর তালিকা মোতাবেক নবগঙ্গা নদীর জমি দখল করে ৭৩ জন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। এ সব স্থাপনা দ্বিতীয় দিনের মতো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডর এসডি ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শৈলকুপার কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, কোটচাঁদপুরের চুঙ্গার বিল, হরিণাকুন্ডুর রামনগর সাতব্রীজ এলালায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে আছে ৬৭১ জন দখলদার। ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী দখলদারদের উচ্ছেদের পর কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, চুঙ্গার বিল ও রামনগর সাতব্রীজ এলালায় অভিযান চালানো হবে। এই উচ্ছেদ অভিযানে ভবন ভাঙ্গা বা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

নবগঙ্গা নদী দখলদারদের হিসেবে যারা চিহ্নিত হয়েছেন তারা হলেন, চাকলাপাড়ার মশা দাস, সদানন্দ দাস, আন্তারাম দাস, রাধা দাস, পলাশ কুমার সাহা, মিন্টু দাস, কান্ত দাস, স্বরজিৎ কুমার বিশ্বাস, গোবিন্দ শর্মা, রমেশ কুন্ডু, স্বরসতি অধিকারী, পলাশ, বুদ্ধি দাস, পিযুস দাস, বিশ্বনাথ দাস, ফকির চাঁদ, মনিরুল ইসলাম, সুজিত কর্মকার, গিলাবাড়িয়ার সুকুমার বিশ্বাস, বাড়ি বাথানের সিদ্দিক, পুরাতন হাটখোলার দেবু দাস, তোয়াজ উদ্দীন, বাবলু, রেজাউল, রফিকুল, মর্জিনা বেগম, আমানুল্লাহ, ভোলা রুদ্র, ভুটিয়ারগাতির উৎপল, আমিরুল ইসলাম, আসালত, ইকবাল হোসেন, সানু, খোর্দ ঝিনাইদহের অসীম কুমার মিত্র, আনোয়ারুল কাদের জোয়ারদার, গীতাঞ্জলী সড়কের উৎপল সরকার, ক্যাসেল ব্রীজ এলাকার বন্ধন শিল্পগোষ্ঠি, রহমান হোমিও, উজ্জল স্টুডিও, রহমান হোমিও, অডিও চয়েস, মনি সাউন্ড, সুর তরঙ্গ, লিপু রেডিও, সুমন ডিজিটাল, ড্রইট সাউন্ড, বাঁধন ফার্মেসি, মনিরা ফার্মেসি, মা বিপনী, কেচি গেট দোকান, পবহাটী গ্রামের রিপন, মাসেদা খাতুন, নাছির উদ্দীন, দুলাল, জাহিদুল, ইসমাইল, কাজী আমির হোসেন, পবহাটী শেখ পাড়ার আমির, আরাপপুরের ওহিদুল, আশরাফুজ্জামান, কে এস জাহাঙ্গীর, মশিয়ার, আমানুল্লা, আকরাম, শাহানাজ পারভিন, মাহবুবুল ইসলাম, মাষ্টার পাড়ার, শহিদুল, সত্তেন মাষ্টার, আরাপপুর পশ্চিমপাড়া বটতলার তাজ উদ্দীন, ডাক্তার আলাউদ্দীন ও জুয়েল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব সাক্ষরিত তালিকা তেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সেলিম রেজা জানান, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে নদীর সীমানা নির্ধারন করে দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। কাজেই এই তালিকা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তারা বলেন, শৈলকুপার কাতলাগাড়ি, লাঙ্গলবাধ, কোটচাঁদপুরের চুঙ্গার বিল, হরিণাকুন্ডুর রামনগর সাতব্রীজ এলালায়ও নিরপেক্ষ ভাবে সার্ভে করে দখলদার চিহ্নি করা হয়েছে।