ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, আটক ২

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজের ৬৯ দিন পর সয়ফল হোসেন (৪২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মহাশ্মশান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে হরিণাকুণ্ডুর তৈলটুপি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার আলচারা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে মজনু হোসেন এবং একই থানার আস্তানগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানায়, ২০২৩ নালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সয়ফল হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী ইবি থানার ঝাউদিয়া বাজারে যায়। পরে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দুই দিন পর ১৭ নভেম্বর তার ভাই সয়ফল হোসেন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে সাইফুল ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে খুঁজে না পেয়ে ১ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর সাইফুলের ঘনিষ্ঠ মনিরুল ও মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মনিরুল ও মজনু স্বীকার করেন ১৫ নভেম্বর সাইফুল ইসলামকে অপহরণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর তৈলটুপি শ্মশানঘাটের পাশে কুমার নদের ধারে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ঠিক কী কারণে নিজেদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলো এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো, তা উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।

Tag :

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

ঝিনাইদহে নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, আটক ২

Update Time : ১২:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজের ৬৯ দিন পর সয়ফল হোসেন (৪২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মহাশ্মশান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে হরিণাকুণ্ডুর তৈলটুপি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার আলচারা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে মজনু হোসেন এবং একই থানার আস্তানগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানায়, ২০২৩ নালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সয়ফল হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী ইবি থানার ঝাউদিয়া বাজারে যায়। পরে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দুই দিন পর ১৭ নভেম্বর তার ভাই সয়ফল হোসেন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে সাইফুল ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে খুঁজে না পেয়ে ১ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর সাইফুলের ঘনিষ্ঠ মনিরুল ও মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মনিরুল ও মজনু স্বীকার করেন ১৫ নভেম্বর সাইফুল ইসলামকে অপহরণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর তৈলটুপি শ্মশানঘাটের পাশে কুমার নদের ধারে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ঠিক কী কারণে নিজেদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলো এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো, তা উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।