ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারে পায়খানার স্লাব ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিশ্বনাথপুর গ্রামের আলী হোসেন ওরফে হযরত আলী, জাহিদ হাসান অপু, সুজন, রাজু, মসিয়ার রহমান, নরুন্নবী, আলাউদ্দীন, সাজু ও নয়নকে যশোর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
এরমধ্যে গুরুতর আহত আলী হোসেন ওরফে হযরত আলীকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মালেক জানান, দুই দিন আগে ভাটপাড়া গ্রামের আনিচুর রহমানের টয়লেটের স্লাব নসিমন গাড়ির ধাক্কায় ভেঙ্গে যায়। ওই ঘটনায় বিশ্বনাথপুর গ্রামের নসিমন গাড়ির চালক রাজুকে মারধর করা হয়। পরে রাজুকে উদ্ধার করতে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে আনিচুর ও তার সহযোগীরা।
পরে বিষয়টি মিমাংশার জন্য পুড়াপাড়া বাজারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সালিশ বৈঠকে বসে। বৈঠক শুরু এক পর্যায়ে সেখানে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
মান্দারবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, আকস্মিক হামলায় মহিলাসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। হামলায় আনিচুর সহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুত্বর জখম হয়েছেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, পায়খানার স্লাব ভাঙ্গা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজন মহেশপুর ও ৮ জন যশোর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে নসিমন চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষ অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সবুজদেশ/এসইউ