ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে চাটাই দিয়ে ঘেরা স্কুলের সবাই পেয়েছে জিপিএ-৫

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর বাজারে প্রতিষ্ঠিত আলোর দিশারী নামের একটি কেজি স্কুলের সবাই সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের এই কৃতিত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকের আনন্দের শেষ নেই।

স্কুলটির বর্ননা শুনে যে কেউ অনুশোচনা করতে পারেন। চাটাই দিয়ে ঘেরা, উপরে টিনসেড। চারটি কক্ষে পালাক্রমে পড়ালেখা করে ১৭০ থেকে ১৮০ টি শিশু। এই ভাঙ্গা ঘরেই উঁকি দিয়েছে চাঁদের আলো। এবারের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

স্কুলটিতে গিয়ে দেখা গেছে, বাচ্চারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছাস প্রকাশ করে। আর অভিভাবকরা এসে জড়িয়ে ধরেন শিক্ষকদের। যেন কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রকিবুল ইসলাম জানান, দখলপুর গ্রামে ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যেও বাচ্চাদের দেখভাল করার দায়িত্ব নেন তারা। ২০০২ সালে ৩০ শতক ভাড়া জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন আলোর দিশারী কেজি স্কুল। পাড়াগায়ে স্কুলটি হওয়ায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভাবে চালানো যায় না। নিজেরা বেঁচে থাকতে পারেন এমন পয়সা নিয়ে তারা শ্রম দিয়ে চলেছেন। তারা ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়ালেখা শেখানোর কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বছরই তাদের প্রতিষ্ঠান ভালো ফল করছে। এবার ১৬ জন সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। যেটা তাদের জানামতে ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে সেরা।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিশু মিম এর মা রোজিনা খাতুন জানান, এই কেজি স্কুলটিতে বাচ্চা ভর্তি করার পর অভিভাবকরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান। কারন শিক্ষকরা এতোটা খেয়াল করেন যে বাবা-মাকে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না।

এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস. এম আব্দুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। ওই প্রতিষ্ঠানের শিশুরা খুবই ভালো ফল করেছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা পরিশ্রম করলে অবশ্যই সন্তানরা ভালো ফল করবে, যা দখলপুর কেজি স্কুলটি করেছে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৫:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০
৯৬৮ Time View

ঝিনাইদহে চাটাই দিয়ে ঘেরা স্কুলের সবাই পেয়েছে জিপিএ-৫

Update Time : ০৫:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর বাজারে প্রতিষ্ঠিত আলোর দিশারী নামের একটি কেজি স্কুলের সবাই সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের এই কৃতিত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকের আনন্দের শেষ নেই।

স্কুলটির বর্ননা শুনে যে কেউ অনুশোচনা করতে পারেন। চাটাই দিয়ে ঘেরা, উপরে টিনসেড। চারটি কক্ষে পালাক্রমে পড়ালেখা করে ১৭০ থেকে ১৮০ টি শিশু। এই ভাঙ্গা ঘরেই উঁকি দিয়েছে চাঁদের আলো। এবারের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

স্কুলটিতে গিয়ে দেখা গেছে, বাচ্চারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছাস প্রকাশ করে। আর অভিভাবকরা এসে জড়িয়ে ধরেন শিক্ষকদের। যেন কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রকিবুল ইসলাম জানান, দখলপুর গ্রামে ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যেও বাচ্চাদের দেখভাল করার দায়িত্ব নেন তারা। ২০০২ সালে ৩০ শতক ভাড়া জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন আলোর দিশারী কেজি স্কুল। পাড়াগায়ে স্কুলটি হওয়ায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভাবে চালানো যায় না। নিজেরা বেঁচে থাকতে পারেন এমন পয়সা নিয়ে তারা শ্রম দিয়ে চলেছেন। তারা ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়ালেখা শেখানোর কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বছরই তাদের প্রতিষ্ঠান ভালো ফল করছে। এবার ১৬ জন সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। যেটা তাদের জানামতে ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে সেরা।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিশু মিম এর মা রোজিনা খাতুন জানান, এই কেজি স্কুলটিতে বাচ্চা ভর্তি করার পর অভিভাবকরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান। কারন শিক্ষকরা এতোটা খেয়াল করেন যে বাবা-মাকে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না।

এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস. এম আব্দুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। ওই প্রতিষ্ঠানের শিশুরা খুবই ভালো ফল করেছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা পরিশ্রম করলে অবশ্যই সন্তানরা ভালো ফল করবে, যা দখলপুর কেজি স্কুলটি করেছে।