ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের সকল আসামি খালাস

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ কনস্টেবল জিএম ওমর ফারুক হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৫৩ জন আসামির সকলকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুব আলম এই রায় প্রদান করেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপরে নির্বিচারে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় জনতার গণপিটুনিতে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক নিহত হন।

ওই বছরের ৩ মার্চ হরিণাকুণ্ডু থানার উপপরিদর্শক হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেখানে বিএনপি-জামায়াতের ২২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪ থেকে ৫ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোতাহার হোসেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন, সেক্রেটারি ইদ্রিস আলী, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন, আজিজুর রহমান ও আনসার আলীসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩৫৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই মামলায় মোট ৯৭ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি আকিদুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস মামলাটি পরিচালনা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার পক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবাদীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

সবুজদেশ/এসইউ

ঝিনাইদহে পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের সকল আসামি খালাস

Update Time : ০৭:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ কনস্টেবল জিএম ওমর ফারুক হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৫৩ জন আসামির সকলকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুব আলম এই রায় প্রদান করেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপরে নির্বিচারে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় জনতার গণপিটুনিতে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক নিহত হন।

ওই বছরের ৩ মার্চ হরিণাকুণ্ডু থানার উপপরিদর্শক হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেখানে বিএনপি-জামায়াতের ২২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪ থেকে ৫ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোতাহার হোসেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন, সেক্রেটারি ইদ্রিস আলী, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন, আজিজুর রহমান ও আনসার আলীসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩৫৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই মামলায় মোট ৯৭ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি আকিদুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস মামলাটি পরিচালনা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার পক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবাদীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

সবুজদেশ/এসইউ