ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে প্রতিমা ভাংচুরের মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা, গ্রেফতার ৩

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পুলিশকে শায়েস্তা করতেই ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভাংচুর করা হয় মন্দিরের কালীপ্রতিমা। আর মুল হোতা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক’র ছেলে দিনার বিশ্বাস। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পলাতক রয়েছে মুল হোতা দিনার বিশ্বাস।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-একই উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের এস এম আরব আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান হিরো (২৯), পাঞ্জাবী আলী খানের ছেলে তুষার হোসেন (৩৩) ও একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন।

রোববার দুপুরে প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, গত ৬ অক্টোবর শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বাক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস ও জিনারুল নামের একজন গড়াই নদীতে নৌকায় ১৫/১৬ জন মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল নাচ ও জুয়া খেলার আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, সাউন্ডবক্সসহ ২ টি ট্রলার জব্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিনার বিশ্বাস। পুলিশকে শায়েস্তা করতে পরিকল্পনা করে প্রতিমা ভাংচুরের। ওই দিন রাতে দিনার বিশ্বাস তার বাড়িতে আসাদুজ্জামান হিরো, তুষার হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেনকে ডেকে নেয়। সেখানে বসেই পরিকল্পা করে দিনার। দিনারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশকে শায়েস্তা করতে ডাউটিয়া গ্রামের শতবছরের পুরোনো কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে তারা। ভাংচুর করে কালীপ্রতিমার মাথা প্রায় ২০০ গজ দুরে ফেলে রেখে যায়। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পরদিন মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার মন্ডল বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তদন্ত শুরু করে। জড়িত থাকায় গত ১২ অক্টোবর আসাদুজ্জামান হিরোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের হেফাজতে আনা হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জড়িত থাকায় তুষার ও সাজ্জাদ নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছে মুল পরিকল্পনাকারী দিনার বিশ্বাস।

পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এর সাথে যেই জড়িত থাকবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

Tag :

ঝিনাইদহে প্রতিমা ভাংচুরের মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা, গ্রেফতার ৩

Update Time : ০৬:২১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পুলিশকে শায়েস্তা করতেই ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভাংচুর করা হয় মন্দিরের কালীপ্রতিমা। আর মুল হোতা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক’র ছেলে দিনার বিশ্বাস। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পলাতক রয়েছে মুল হোতা দিনার বিশ্বাস।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-একই উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের এস এম আরব আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান হিরো (২৯), পাঞ্জাবী আলী খানের ছেলে তুষার হোসেন (৩৩) ও একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন।

রোববার দুপুরে প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, গত ৬ অক্টোবর শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বাক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস ও জিনারুল নামের একজন গড়াই নদীতে নৌকায় ১৫/১৬ জন মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল নাচ ও জুয়া খেলার আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, সাউন্ডবক্সসহ ২ টি ট্রলার জব্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিনার বিশ্বাস। পুলিশকে শায়েস্তা করতে পরিকল্পনা করে প্রতিমা ভাংচুরের। ওই দিন রাতে দিনার বিশ্বাস তার বাড়িতে আসাদুজ্জামান হিরো, তুষার হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেনকে ডেকে নেয়। সেখানে বসেই পরিকল্পা করে দিনার। দিনারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশকে শায়েস্তা করতে ডাউটিয়া গ্রামের শতবছরের পুরোনো কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে তারা। ভাংচুর করে কালীপ্রতিমার মাথা প্রায় ২০০ গজ দুরে ফেলে রেখে যায়। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পরদিন মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার মন্ডল বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তদন্ত শুরু করে। জড়িত থাকায় গত ১২ অক্টোবর আসাদুজ্জামান হিরোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের হেফাজতে আনা হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জড়িত থাকায় তুষার ও সাজ্জাদ নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছে মুল পরিকল্পনাকারী দিনার বিশ্বাস।

পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এর সাথে যেই জড়িত থাকবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।