ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দলীয় কোন্দলের জেরে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির অপর একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে। এ সময় আরো তিন নেতাকর্মীর বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়।

সোমবার(১৬ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ভাটই বাজার, ১ নং চাঁদপুর ও কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ফিরোজ বিশ্বাস জানান, সোমবার বিকেলে স্থানীয় কাজীপাড়া এলাকায় শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম কাজলসহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল। সে সময় সেনাবাহিনীর লোকজন এসে কাজলসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তারা থানা থেকে বের হয়ে আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুর লুটপাট করে। পরে চাঁদপুর গ্রামের বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানসহ তিনটি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি তারা ফুলহরি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়েও ভাঙচুর চালিয়েছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাংঘঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম কাজলের ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শৈলকুপায় বিএনপির নেতাকমীরা এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িতে যে ভাবে হামলা-ভাঙচুর করছে সেটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি ইতিমধ্যে কেন্দ্রে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরিই এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’

শৈলকুপার থানা ডিউটি অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের আটক করে সেনাবাহিনী রেখে গেছিল। কিছু সময় আগে তাদের পরিবারের জিম্মায় থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শুনলাম তারা এলাকায় গিয়ে আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘থানায় এই মুহুর্তে বড় অফিসাররা নেই। তারপরেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

সবুজদেশ/এসএএস