ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বিধবা শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও!

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

বছর দেড়েক আগে ধর্ম জামাই-শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে ববিতা ও আকারুলের সাথে । সাবালক সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে যে বিধবা ধর্মশাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন জামাই আকারুল তা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষে সুযোগ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন আকারুল নামের জামাই। তারপর থেকে ৩ সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থা স্ত্রীর।

এমনই ঘটনা ঘটেছে গত বৃস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। জামাই আকারুল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে ও শাশুড়ী আসমা খাতুন (৩৫) একই গ্রামের মৃত ফারুক হোসেন স্ত্রী। জামাই আকারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।

স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই গ্রাম ও আশেপাশের এলাকার সাধারন মানুষের মুখে মুখে সখকখমালোচনা ও মুখরোচক গল্প হয়ে উঠেছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে আকারুলে সাথে ধর্ম জামাই শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে বিধবা আসমার। আসমার স্বামী না থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শাশুড়ী আসমার পরিবার ছেলে সন্তান ও কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় সংসারে সব কাজকর্ম জামাই আকারুলই করতো। যার কারণে তার বাড়িতে রাতে দিনে যাতায়াত ছিল জামাই আকারুলের। তবে তাদের চলাফেরা গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গ্রামবাসীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। তবে বিধবা শাশুড়ীর নগদ টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

বিধবা আসমার দেবর মিলন হোসেন জানান, ভাই গত দেড় বছর আগে মালেশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সেই থেকে ভাবি দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের সংসার নিজেই দেখভাল করছে। আমাদের সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা করে না বরং ধর্মজামাইকে নিয়ে তার ওঠাবসা। তিনি আরো বলেন, ভাবি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। পরে হয়তো আকারুলের সাথে যোগাযোগ করে পালিয়েছে।

রাজমিস্ত্রী আকারুলের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রী কাজে বাহিরে যাচ্ছে বলে জানিয়ে বেরিয়েছি। যাওয়া সময় ঘরে থাকা কিছু নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিধবা আসমা আমার সংসার ভাঙার জন্য আমার স্বামীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার সন্তানদের নিয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, আমার গ্রামের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি নিজেই বিব্রত। আমি লোকমুখে শুনেছি রাজমিস্ত্রী আকারুল বিধবা ধর্মশাশুড়ী আসমাকে নিয়ে পালিয়েছে। তবে এব্যাপারে দু’পরিবারের কেউ আমাকে কিছু জানাইনি।

নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, গত ৩মাস আগে ওদের বিষয় নিয়ে পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠে। তারা সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করবে এমন মুচলেকায় সালিম বৈঠক মীমাংশা হয়। তবে হুট করে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করবে কেউ ভাবতে পারেনী। ওদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, জামাই শাশুড়ী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেউ থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৮:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
৮২৮ Time View

ঝিনাইদহে বিধবা শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও!

Update Time : ০৮:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

বছর দেড়েক আগে ধর্ম জামাই-শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে ববিতা ও আকারুলের সাথে । সাবালক সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে যে বিধবা ধর্মশাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন জামাই আকারুল তা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষে সুযোগ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন আকারুল নামের জামাই। তারপর থেকে ৩ সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থা স্ত্রীর।

এমনই ঘটনা ঘটেছে গত বৃস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। জামাই আকারুল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে ও শাশুড়ী আসমা খাতুন (৩৫) একই গ্রামের মৃত ফারুক হোসেন স্ত্রী। জামাই আকারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।

স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই গ্রাম ও আশেপাশের এলাকার সাধারন মানুষের মুখে মুখে সখকখমালোচনা ও মুখরোচক গল্প হয়ে উঠেছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে আকারুলে সাথে ধর্ম জামাই শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে বিধবা আসমার। আসমার স্বামী না থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শাশুড়ী আসমার পরিবার ছেলে সন্তান ও কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় সংসারে সব কাজকর্ম জামাই আকারুলই করতো। যার কারণে তার বাড়িতে রাতে দিনে যাতায়াত ছিল জামাই আকারুলের। তবে তাদের চলাফেরা গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গ্রামবাসীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। তবে বিধবা শাশুড়ীর নগদ টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

বিধবা আসমার দেবর মিলন হোসেন জানান, ভাই গত দেড় বছর আগে মালেশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সেই থেকে ভাবি দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের সংসার নিজেই দেখভাল করছে। আমাদের সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা করে না বরং ধর্মজামাইকে নিয়ে তার ওঠাবসা। তিনি আরো বলেন, ভাবি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। পরে হয়তো আকারুলের সাথে যোগাযোগ করে পালিয়েছে।

রাজমিস্ত্রী আকারুলের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রী কাজে বাহিরে যাচ্ছে বলে জানিয়ে বেরিয়েছি। যাওয়া সময় ঘরে থাকা কিছু নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিধবা আসমা আমার সংসার ভাঙার জন্য আমার স্বামীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার সন্তানদের নিয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, আমার গ্রামের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি নিজেই বিব্রত। আমি লোকমুখে শুনেছি রাজমিস্ত্রী আকারুল বিধবা ধর্মশাশুড়ী আসমাকে নিয়ে পালিয়েছে। তবে এব্যাপারে দু’পরিবারের কেউ আমাকে কিছু জানাইনি।

নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, গত ৩মাস আগে ওদের বিষয় নিয়ে পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠে। তারা সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করবে এমন মুচলেকায় সালিম বৈঠক মীমাংশা হয়। তবে হুট করে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করবে কেউ ভাবতে পারেনী। ওদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, জামাই শাশুড়ী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেউ থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।