ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক অবরুদ্ধ ও যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় শ্রমিক ইউনিয়নের দু:খ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দু:খ প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ শ্রমিককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা বাস মিনিবাস, মাইক্রো কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হাফিজ রানাসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন বলেন, গত ৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও এক যাত্রীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। ওই দিন আমরা একটি জানাযায় ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক হয়েছে। এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা দু:খ প্রকাশ করছি। আমরা ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমান চঞ্চল, সবুজ, পারভেজ, সুমন, সিদ্দিকসহ ১০ জনকে সংগঠন ও টার্মিনাল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাসকে অবরুদ্ধ করে এক যাত্রীকে মারধর করে বাসের শ্রমিকরা।
সবুজদেশ/এসইউ