ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

 

ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট সদর উপজেলার কালা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, তার ছোট ভাই মোঃ আলী আকবর প্রবাসি হওয়ায় স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাইলি পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। তার চলাফেরা এবং বেপরোয়া আচরণ সংযত করে ভদ্রভাবে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন ভাসুর ইদ্রিস আলী। কিন্তু লাইলি সংযত না হয়ে উল্টো ছোট ভাই আলী আকবরকে তালাক দিয়ে অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। ঘরে দুইটি অবুঝ শিশু থাকায় আবার লাইলি কে বুঝিয়ে সংসারে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুদিন পর লাইলী আবারো পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, এ নিয়ে লাইলির পিতা ও ভাইদের সঙ্গে তাদের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং লাইল তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় লাইলির পরিবার সামাজিক ভাবে ইদ্রিস আলীর বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক।

দুই পরিবারের মধ্যে সংগর্ষের পর লাইলি তার বাপ ভাইয়ের পরামর্শে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষন প্রচেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের। মামলাটি তদন্ত করতে বিজ্ঞ আদালত ঝিনাইদহ সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সিআইডির এসআই ইউসুফ হোসেন লাইলির ঘরে বসে খাওয়া-দাওয়া করতো এবং লাইলির ওড়না দিয়ে হাত মুছতো। এঘটনার প্রতিবাদ করে ইদ্রিস আলী তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, মামলার তদন্ত করতে এসে তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করা এবং শাড়ীর আঁচলে হাত মুছা কি ঠিক ? প্রতিউত্তরে সিআইডি কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকী দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিআইডির ওই এসআই ইউসুফ হোসেন প্রায়ই বাদী লাইলি বাড়ী এসে দু’জন শহরে চলে যেতেন এবং ঐ কর্মকর্তার সাথে সময় কাটাতেন। ইদ্রিস আলী নিজেকে পদ্মাকর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবী করে এই মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যখান পুর্বক সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেন তার বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্য ইদ্রিস আলীর উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জসিট প্রদান করা হয়েছে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

যশোর শিক্ষা বোর্ড: জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

ঝিনাইদহে মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

Update Time : ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

 

ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট সদর উপজেলার কালা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, তার ছোট ভাই মোঃ আলী আকবর প্রবাসি হওয়ায় স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাইলি পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। তার চলাফেরা এবং বেপরোয়া আচরণ সংযত করে ভদ্রভাবে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন ভাসুর ইদ্রিস আলী। কিন্তু লাইলি সংযত না হয়ে উল্টো ছোট ভাই আলী আকবরকে তালাক দিয়ে অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। ঘরে দুইটি অবুঝ শিশু থাকায় আবার লাইলি কে বুঝিয়ে সংসারে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুদিন পর লাইলী আবারো পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, এ নিয়ে লাইলির পিতা ও ভাইদের সঙ্গে তাদের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং লাইল তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় লাইলির পরিবার সামাজিক ভাবে ইদ্রিস আলীর বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক।

দুই পরিবারের মধ্যে সংগর্ষের পর লাইলি তার বাপ ভাইয়ের পরামর্শে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষন প্রচেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের। মামলাটি তদন্ত করতে বিজ্ঞ আদালত ঝিনাইদহ সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সিআইডির এসআই ইউসুফ হোসেন লাইলির ঘরে বসে খাওয়া-দাওয়া করতো এবং লাইলির ওড়না দিয়ে হাত মুছতো। এঘটনার প্রতিবাদ করে ইদ্রিস আলী তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, মামলার তদন্ত করতে এসে তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করা এবং শাড়ীর আঁচলে হাত মুছা কি ঠিক ? প্রতিউত্তরে সিআইডি কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকী দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিআইডির ওই এসআই ইউসুফ হোসেন প্রায়ই বাদী লাইলি বাড়ী এসে দু’জন শহরে চলে যেতেন এবং ঐ কর্মকর্তার সাথে সময় কাটাতেন। ইদ্রিস আলী নিজেকে পদ্মাকর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবী করে এই মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যখান পুর্বক সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেন তার বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্য ইদ্রিস আলীর উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জসিট প্রদান করা হয়েছে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সবুজদেশ/এসএএস