ঝিনাইদহে মোবাইলের দোকানে চুরি, থানায় লিখিত অভিযোগ
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে দিন দিন চোরের উপদ্র বেড়েই চলেছে। কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েকটি দোকান ও একটি এজেন্ট ব্যাংকে চুরি হলেও চোর সংবদ্ধ দল ধরা পড়েনি।
সম্প্রতি কয়েক মাসের ব্যবধানে ডাকবাংলা বাজারে দিব্য বিকাশ ঘর থেকে নগদ ৭০ হাজার, পোতাহাটি গ্রামের প্রতিবন্ধী সহেলের ৯০ হাজার টাকা মুল্যের গরু,চাঁদ ইলেকট্রনিক এবং তুষার স্যানেটারীও ডাকবাংলা মুকুল গোল্ডে এন্ড ইলেকট্রনিক দোকানের টিন কেটে ৭টি মোবাইল, ৮৫পিস মেমোরীসহ নগদ ৯০ হাজার টাকা চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, বুধবার (২২ জানুয়ারী) রাতে নিউ সেল বাজার টেলিকমে সম্প্রতি দোকানে লাগানো ৪টি সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও দোকানের চালের টিন কেটে চোরেরা ঘরে ঢুকেই ৩টি ক্যামেরা নষ্ট করে এ্যান্ডুয়েড ও বাটন মোবাইল ফোন,পাওয়ার ব্যাংক,কাভার, ৪’শ মেমোরি কার্ড এবং নগদ টাকা মিলে প্রায় ২ লক্ষ্য টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরারা।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সাংবাদিক সুমন আহম্মেদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে দোকানে ঢুকেই দেখি দোকানের মালামাল ছড়ানো ছিটানো,ক্যাশ বাক্সে নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিলো সেটা নেই। উপর দিকে তাকিয়ে দেখি চালের টিন কাটা তখন পাশের লোকজনকে ডাক দিয়ে দেখায় ও ডাকবাংলা ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানসহ বাজার দোকান মালিক সমিতিকে বিষয়টি জানায় এবং ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আঃ রহমান কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং সুমনের মোবাইলের দোকানে ও গিয়েছি এবং প্রশাসনের স্বরণা পণ্য হয়েছি আমরা চোরকে ধরার জন্য চেষ্টা করছি।
ডাকবাংলা ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, দোকানে চুরি হয়েছে সোনার সাথে সাথে আমি গিয়েছি এবং চোর চক্রকে ধরার চেষ্টা করছি। ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির কয়েকটি সদস্য বলেন,ডাকবাংলা বাজারে একের পর এক চুরি হওয়ার তাইলেই থাকে, নাইট গার্ড থাকার পরেও কিভাবে এইসব চুরি হয়? আর এই চোর চক্র যারাই হোক না কেন তাদের দ্রুত ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি আমাদের।