ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের ৪ দিনপরে হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ( ০৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কেস্টপুর চরের মাঠ থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

হাফিজুর রহমান উপজেলার রিশখালি গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

সাবেক চেয়ারম্যান সাবদার আলীর জানান, গত ৫ অক্টোবর বুধবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে না পেয়ে গত ৭ অক্টোবর নিহতের ভাই জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। রোববার দুপুরে গ্রামের লোকজন ওই বিলে মাছ ধরতে যায়। সেসময় হাফিজুর রহমানের ব্যবহারিত একটি মোবাইল ফোন পায় তারা। মোবাইল ফোনটি পাওয়ার পর হাফিজুরের পরিবারকে জানায় তারা। ফোনটি হাফিজুর রহমানের বলে নিশ্চিত করে পরিবার। পরে ওই বিলে খোঁজাখুজি করে মাটির নিচেই পুতে রাখা হাফিজুর রহমানের পা দেখতে পায় তারা। এসময় পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরোও জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, রিশখালীর বিলের মাঠে হাফিজুরের লাশ পুতে রাখা আছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে হরিনাকুন্ডু থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৮:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের ৪ দিনপরে হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ( ০৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কেস্টপুর চরের মাঠ থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

হাফিজুর রহমান উপজেলার রিশখালি গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

সাবেক চেয়ারম্যান সাবদার আলীর জানান, গত ৫ অক্টোবর বুধবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে না পেয়ে গত ৭ অক্টোবর নিহতের ভাই জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। রোববার দুপুরে গ্রামের লোকজন ওই বিলে মাছ ধরতে যায়। সেসময় হাফিজুর রহমানের ব্যবহারিত একটি মোবাইল ফোন পায় তারা। মোবাইল ফোনটি পাওয়ার পর হাফিজুরের পরিবারকে জানায় তারা। ফোনটি হাফিজুর রহমানের বলে নিশ্চিত করে পরিবার। পরে ওই বিলে খোঁজাখুজি করে মাটির নিচেই পুতে রাখা হাফিজুর রহমানের পা দেখতে পায় তারা। এসময় পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরোও জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, রিশখালীর বিলের মাঠে হাফিজুরের লাশ পুতে রাখা আছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে হরিনাকুন্ডু থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হবে।