ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে শিশুপার্কের মাঠ থেকে অবকাঠামো অপসারণের নির্দেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে।

ঢাকা:

ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত পাবলিক পার্কের (শিশুপার্ক) মাঠ  থেকে মসজিদ ছাড়া অন্যান্য সব অবকাঠামো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দুই দশমিক ১৮ আয়তনের এই মাঠ থেকে থেকে মসজিদ ছাড়া অন্যান্য সব অবকাঠামো অপসারণ করতে হবে।

২০১৯ সালে করা রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, এলাকার শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পার্কটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এ পার্কেই পালন করা হয়। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি এ পার্কে ভ্রমণ করে। অতি সম্প্রতি ঝিনাইদহ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পার্কটিতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কে বিদ্যমান শিশুদের খেলার সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর পাবলিক পার্কটি রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছে। কিন্তু সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসী বেলা’র কাছে আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে।

পরে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) একটি রিট আবদেন করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শিশুপার্কে বহুতল ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। একইসঙ্গে পাবলিক পার্কের (শিশুপার্ক) শ্রেণি অপরিবর্তিত রেখে জমিটি ‘পার্ক’ হিসেবে সংরক্ষণ ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

Tag :

ঝিনাইদহে শিশুপার্কের মাঠ থেকে অবকাঠামো অপসারণের নির্দেশ

Update Time : ০৭:১২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঢাকা:

ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত পাবলিক পার্কের (শিশুপার্ক) মাঠ  থেকে মসজিদ ছাড়া অন্যান্য সব অবকাঠামো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দুই দশমিক ১৮ আয়তনের এই মাঠ থেকে থেকে মসজিদ ছাড়া অন্যান্য সব অবকাঠামো অপসারণ করতে হবে।

২০১৯ সালে করা রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, এলাকার শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পার্কটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এ পার্কেই পালন করা হয়। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি এ পার্কে ভ্রমণ করে। অতি সম্প্রতি ঝিনাইদহ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পার্কটিতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কে বিদ্যমান শিশুদের খেলার সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর পাবলিক পার্কটি রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছে। কিন্তু সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসী বেলা’র কাছে আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে।

পরে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) একটি রিট আবদেন করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শিশুপার্কে বহুতল ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। একইসঙ্গে পাবলিক পার্কের (শিশুপার্ক) শ্রেণি অপরিবর্তিত রেখে জমিটি ‘পার্ক’ হিসেবে সংরক্ষণ ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।