ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় কৃষকদল নেতা। প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ক্যানেলের পাশের জমির চাষাবাদ।
এলাকাবাসীর জানায়, কাঁচেরকোল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রুহুল মেম্বর গত কয়েক দিন ধরে এক্সকাভেটর (ভেকু) মেশিন ব্যবহার করে ক্যানালের পাড় কেটে মাটি নিয়ে বিক্রি করছেন। রুহুল মেম্বর ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ওসমান আলী ও শৈলকুপা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস আলীর ভাই।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২৮ মার্চ হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা শুরু করে রুহুল মেম্বর। যেসব কৃষকের জমির উপর দিয়ে ক্যানাল পাড়ে যেতে হয় সেসব জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে সে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকেরা। বার বার বললেও উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়দিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ট্রলিতে করে মাটি আমাদের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জমিতে এখন পাট বুনব। কিন্তু কোন ভাবেই রুহুল মেম্বর জমিতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।
আরেক কৃষক বলেন, যেভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাতে বৃষ্টি হলে খাল ধ্বসে পানি আমাদের ফসলের মধ্যে চলে আসবে। কিছুদিন পর তো আমরা বিপদে পড়ব।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। ঘটনাটি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে রুহুল মেম্বর বলেন, খাল পাড় না পাশের একটি জমি থেকে মাটি কেটেছিলাম। মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি বলেই কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিগ্ধা দাস বলেন, ঘটনাটি জানার পর একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। অধিকতর তথ্য সংগ্রহ শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবুজদেশ/এসএএস