ঝিনাইদহে সংবাদ প্রকাশের জেরে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডুকে কেয়ামতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ওয়াহিদুজ্জামান জিল্লু নামের এনজিও মালিক। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।
রবিবার(১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৮ মিনিটে অরিত্র কুণ্ডুর ব্যবহৃত মোবাইলে কল করে এই হুমকি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রকাশিত তালিকায় ঝিনাইদহের তিন এনজিও নাম আসে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকায় নামসর্বস্ব তিন প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে এসিয়া, হেভেনসহ তিনটি এনজিওর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এসিয়া এনজিওর মালিক জিল্লু পরিচয়ে সাংবাদিক অরিত্র কু-ুকে হুমকি দেওয়া হয়।
সাংবাদিক অরিত্র কুণ্ডু বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় শহরের একটি পোশাকের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সহকর্মীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সে সময় একটা অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে আমার নাম্বারে কল আসে। আমি রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আমাদের এনজিও নিয়ে কেনো নিউজ করিছিস? তোকে আর সাংবাদিকতা করতে হবে না, তোকে একবারে কেয়ামতে পাঠিয়ে দিবো। এছাড়াও অশ্লীল ভাষায় গালাগালিজ করে সে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি পারভীন জামান কল্পনার নিকটজন ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান জিল্লু। আওয়ামী লীগ শাসনামলে কল্পনার এমপির সহযোগীতায় শৈলকুপাসহ বিভিন্ন এলাকায় সালিসি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখলসহ নানা অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওয়াহিদুজ্জামান জিল্লু।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধাদান করা কাম্য নয়। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডুকে হুমকি দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকেরা।
সবুজদেশ/এসএএস