ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামে সোহেল হোসেনের বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত রুবেল হোসেন (৩০) সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের পিন্টু মিয়ার বড় ছেলে।

নিহতের চাচা মো. জুয়েল হোসেন বলেন, গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাড়ির পাশের দোকান থেকে রাত ৯টার সময় বাড়ি ফিরছিল। তার বন্ধুরা সবাই বাড়ি চলে গেলেও সে বাড়িতে আসে না। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডিসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কোথায় পাওয়া যায় না। আজ সকালে সোহেলের বাড়ির কাজ করছিল মিস্ত্রীরা। এসময় ওই বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে টের পায় নির্মাণ শ্রমিকেরা। পরে ঢাকনা খুলে রুবেলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

চাচা আলমগীর হোসেন জানান, গ্রামের মধ্যে রুবেলের মতো এমন ভালো ছেলে হয় না। আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না রুবেলের কেউ শত্রু আছে। তাকে কেউ এভাবে খুন করতে পারে। তাকে যেই খুন করুক খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়া পর ঘটনাস্থলে আসি। এখানে এসে দেখতে পায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে একটা লাশ উপুড় করে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাশটা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যার রহস্য জানা যাবে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
১১৮ Time View

ঝিনাইদহে সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামে সোহেল হোসেনের বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত রুবেল হোসেন (৩০) সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের পিন্টু মিয়ার বড় ছেলে।

নিহতের চাচা মো. জুয়েল হোসেন বলেন, গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাড়ির পাশের দোকান থেকে রাত ৯টার সময় বাড়ি ফিরছিল। তার বন্ধুরা সবাই বাড়ি চলে গেলেও সে বাড়িতে আসে না। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডিসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কোথায় পাওয়া যায় না। আজ সকালে সোহেলের বাড়ির কাজ করছিল মিস্ত্রীরা। এসময় ওই বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে টের পায় নির্মাণ শ্রমিকেরা। পরে ঢাকনা খুলে রুবেলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

চাচা আলমগীর হোসেন জানান, গ্রামের মধ্যে রুবেলের মতো এমন ভালো ছেলে হয় না। আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না রুবেলের কেউ শত্রু আছে। তাকে কেউ এভাবে খুন করতে পারে। তাকে যেই খুন করুক খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়া পর ঘটনাস্থলে আসি। এখানে এসে দেখতে পায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে একটা লাশ উপুড় করে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাশটা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যার রহস্য জানা যাবে।

সবুজদেশ/এসইউ