ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে হেভিওয়টে প্রার্থীদের হটিয়ে দুই প্রার্থীর চমক!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধি:

সীমানা জটিলতা মামলায় ২০১৫ সাল থেকে আটকে থাকা ঝিনাইদহ পৌরসভা, সদরের সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে ২০১১ সালের জুনে সর্বশেষ সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পৌরসভা নির্বাচনে হেভিওয়টে প্রার্থীদের হটিয়ে আ’লীগ দলীয় মনোনায়ন পেয়েছেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। অপর দিকে প্রথম দফা মনোনায়ন দেবার পর সমোলচনার মুখে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে পাগলাকানাই ইউনিয়নের আ’লীগ দলীয় চেয়াম্যান প্রার্থীর।

২০১৫ সালের এপ্রিলে ওই দুটি ইউনিয়নের মধ্যে সুরাটের লাউদিয়া এবং পাগলাকানাইয়ের গয়াশপুর ও কোরাপাড়াকে পৌরসভা এলাকায় সংযুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণলায় প্রজ্ঞাপন জারী করে। এই অবস্থায় ওই দুটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওই তিনটি এলাকা ছাড়া সম্ভব নয় মর্মে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ফলে মামলাজনিত কারনে ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং ওই দুটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে। অবশেষে দীর্ঘ ৭ বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাই কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহনের দিন ধার্য্য করে ঝিনাইদহ পৌরসভা, সুরাট এবং পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করে। ১৫ জুন অনুষ্ঠিব্য এই নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় মনোনায়ন পেতে মরিয়া ছিল সদ্য সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জীবন কুমার বিশ্বাস, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, যুবলীগ নেতা নাসের আলম সিদ্দীকি ও বাসের আলম সিদ্দীকি।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাতে আ’লীগের মনোনায়ন বোর্ড ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনায়ন দেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেককে। ক্লিন ইমেজের অধিকারী আব্দুল খালেক ইতি পুর্বে ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে জেলা আ’লীগের সিদ্ধান্তনুসারে পৌর নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ২০১১ সালে দলিয় প্রার্থী সাইদুল করিম মিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রহী প্রার্থী হন। দুটি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও ২০০৪ সালে দ্বিতীয় ও ২০১১ সালে তৃতীয় হয়ে উল্লেখযোগ্য ভোট পান।

অন্যদিকে ১১ বছর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুরাট ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী কবির হোসেন জোয়ার্দার কেবি ও পাগলাকানাই ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম জয়লাভ করেন। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুরাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ার্দার কেবিকে মনোনায়ন দেয়া হয়। পাগলাকানাই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনায়ন প্রত্যাশী ছিলেন থানা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সাইদ বিশ্বাস।

কিন্তু শুক্রবার রাতে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন দেয়া হয় ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান চাঁদকে। চাঁদ পৌরসভার চেক জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায় এই মনোনায়নের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ঝড় ওঠে। মনোনায়ন পরিবর্তনের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠে এলাকাবাসী। এই অবস্থায় রোববার দুপুরে আছাদুজ্জামান চাঁদকে পরিবর্তন করে নতুন করে মনোনায়ন দেয়া হয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান আতাকে।

Tag :

ঝিনাইদহে হেভিওয়টে প্রার্থীদের হটিয়ে দুই প্রার্থীর চমক!

Update Time : ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:

সীমানা জটিলতা মামলায় ২০১৫ সাল থেকে আটকে থাকা ঝিনাইদহ পৌরসভা, সদরের সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে ২০১১ সালের জুনে সর্বশেষ সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পৌরসভা নির্বাচনে হেভিওয়টে প্রার্থীদের হটিয়ে আ’লীগ দলীয় মনোনায়ন পেয়েছেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। অপর দিকে প্রথম দফা মনোনায়ন দেবার পর সমোলচনার মুখে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে পাগলাকানাই ইউনিয়নের আ’লীগ দলীয় চেয়াম্যান প্রার্থীর।

২০১৫ সালের এপ্রিলে ওই দুটি ইউনিয়নের মধ্যে সুরাটের লাউদিয়া এবং পাগলাকানাইয়ের গয়াশপুর ও কোরাপাড়াকে পৌরসভা এলাকায় সংযুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণলায় প্রজ্ঞাপন জারী করে। এই অবস্থায় ওই দুটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওই তিনটি এলাকা ছাড়া সম্ভব নয় মর্মে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ফলে মামলাজনিত কারনে ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং ওই দুটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে। অবশেষে দীর্ঘ ৭ বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাই কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহনের দিন ধার্য্য করে ঝিনাইদহ পৌরসভা, সুরাট এবং পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করে। ১৫ জুন অনুষ্ঠিব্য এই নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় মনোনায়ন পেতে মরিয়া ছিল সদ্য সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জীবন কুমার বিশ্বাস, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, যুবলীগ নেতা নাসের আলম সিদ্দীকি ও বাসের আলম সিদ্দীকি।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাতে আ’লীগের মনোনায়ন বোর্ড ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনায়ন দেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেককে। ক্লিন ইমেজের অধিকারী আব্দুল খালেক ইতি পুর্বে ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে জেলা আ’লীগের সিদ্ধান্তনুসারে পৌর নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ২০১১ সালে দলিয় প্রার্থী সাইদুল করিম মিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রহী প্রার্থী হন। দুটি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও ২০০৪ সালে দ্বিতীয় ও ২০১১ সালে তৃতীয় হয়ে উল্লেখযোগ্য ভোট পান।

অন্যদিকে ১১ বছর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুরাট ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী কবির হোসেন জোয়ার্দার কেবি ও পাগলাকানাই ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম জয়লাভ করেন। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুরাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ার্দার কেবিকে মনোনায়ন দেয়া হয়। পাগলাকানাই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনায়ন প্রত্যাশী ছিলেন থানা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সাইদ বিশ্বাস।

কিন্তু শুক্রবার রাতে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন দেয়া হয় ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান চাঁদকে। চাঁদ পৌরসভার চেক জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায় এই মনোনায়নের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ঝড় ওঠে। মনোনায়ন পরিবর্তনের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠে এলাকাবাসী। এই অবস্থায় রোববার দুপুরে আছাদুজ্জামান চাঁদকে পরিবর্তন করে নতুন করে মনোনায়ন দেয়া হয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান আতাকে।