ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ২৫ মণের ‘ভাগ্যরাজের’ দাম ১৫ লাখ (ভিডিও)

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৫ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির গরু ‘ভাগ্যরাজের’ দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। আসন্ন কোরবানির ঈদে এই দামে বিক্রির আশা করছেন ভাগ্যরাজের মালিক।

বিশাল আকৃতির এই ভাগ্যরাজের মালিক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আহাদ আলী। নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সহযোগিতায় লালন-পালন করছেন তিনি। গরুটি দেখতে প্রতিদিনই আশেপাশের মানুষ ভিড় করছেন।

তার দাবি, ২৫ মণ ওজনের গরুটি লালন পালন করতে এ পর্যন্ত তার ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। গত ৪ বছর ধরে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরে রেখে পালছেন এ গরুটি। এ সময়ে গরুটি বাড়ির বাইরে খুব একটা বের করা হয়নি।

তিনি জানান, গত তিন বছর আগে উন্নত জাতের গরুর সিমেন ইনজেকশনের মাধ্যমে আমার বাড়িতে পোষা একটি দেশি জাতের গাভী গরুর গর্ভে প্রবেশ করায়। এরপর নির্দিষ্ট সময় পার হলে এই গরুটির জন্ম হয়। এজন্য নাম দেওয়া হয়েছে ভাগ্যরাজ।

গরুটি পালতে ভুসি ও ঘাসসহ প্রতি মাসে খাবার খরচ হয় ৬/৭ হাজার টাকা। সে হিসাবে তার চিকিৎসা এবং খাবারসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান গরুর মালিক আহাদ আলী।

আহাদ আলীর দাবি, দীর্ঘ এ সময়ে গরু পালন করতে কখনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় খাবার খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাষ দিয়ে লালন পালন করে আসছি। গরুটির ওজন ২৫ মণের বেশি হবে বলে জানান তিনি।

আহাদ আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন জানান, দেশি জাতের গাভী থেকে ৪ বছর আগে একটি বাচ্চা হয়। সেই বাছুর লালন পালন করে নাম রাখা হয়েছে ভাগ্যরাজ।

ভিডিও দেখুন…

Tag :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে ২৫ মণের ‘ভাগ্যরাজের’ দাম ১৫ লাখ (ভিডিও)

Update Time : ০৬:১৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৫ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির গরু ‘ভাগ্যরাজের’ দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। আসন্ন কোরবানির ঈদে এই দামে বিক্রির আশা করছেন ভাগ্যরাজের মালিক।

বিশাল আকৃতির এই ভাগ্যরাজের মালিক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আহাদ আলী। নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সহযোগিতায় লালন-পালন করছেন তিনি। গরুটি দেখতে প্রতিদিনই আশেপাশের মানুষ ভিড় করছেন।

তার দাবি, ২৫ মণ ওজনের গরুটি লালন পালন করতে এ পর্যন্ত তার ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। গত ৪ বছর ধরে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরে রেখে পালছেন এ গরুটি। এ সময়ে গরুটি বাড়ির বাইরে খুব একটা বের করা হয়নি।

তিনি জানান, গত তিন বছর আগে উন্নত জাতের গরুর সিমেন ইনজেকশনের মাধ্যমে আমার বাড়িতে পোষা একটি দেশি জাতের গাভী গরুর গর্ভে প্রবেশ করায়। এরপর নির্দিষ্ট সময় পার হলে এই গরুটির জন্ম হয়। এজন্য নাম দেওয়া হয়েছে ভাগ্যরাজ।

গরুটি পালতে ভুসি ও ঘাসসহ প্রতি মাসে খাবার খরচ হয় ৬/৭ হাজার টাকা। সে হিসাবে তার চিকিৎসা এবং খাবারসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান গরুর মালিক আহাদ আলী।

আহাদ আলীর দাবি, দীর্ঘ এ সময়ে গরু পালন করতে কখনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় খাবার খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাষ দিয়ে লালন পালন করে আসছি। গরুটির ওজন ২৫ মণের বেশি হবে বলে জানান তিনি।

আহাদ আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন জানান, দেশি জাতের গাভী থেকে ৪ বছর আগে একটি বাচ্চা হয়। সেই বাছুর লালন পালন করে নাম রাখা হয়েছে ভাগ্যরাজ।

ভিডিও দেখুন…