ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা: নেপথ্যে রয়েছে যে কারণ

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পুর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন। একসাথে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি সেচখালের পাশ থেকে তাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনজনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুটি মটরসাইকেল ও নিহতদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।

তারা হলেন- পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহাদনগর গ্রামের মো. হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে লিটন এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের আরজাদ আলীর ছেলে রাইসুল ইসলাম। নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত চরমপন্থি নেতা হানিফ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে শেখ হাসিনা সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে হানিফ এলাকায় ফিরে আসেন এবং মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন।

এরপর থেকে হানিফ আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার শুরু করেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে চরমপন্থি হানিফ রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের চেষ্টা করতে থাকে।

একাধিক সুত্রে জানা গেছে, এই ট্রিপল মার্ডারের নেপথ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়ার বিশাল বাওড়। ওই বাওড়ে কোটি টাকার উপরে মাছ ছাড়া আছে। সম্প্রতি মৎস্যজীবী লীগ নেতা পরিচয়ে হানিফ বাওড়ে মাছ ধরা ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে এলাকার বিবাদমান একাধিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই সুত্র ধরেই হানিফসহ তার দুই সঙ্গীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়া বাওড় নিয়ে গত ৩০ বছরে অর্ধশত মানুষ খুন হয়েছে। হত্যার ধরণ দেখে বোঝা যায় তাদের কৌশলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একই স্থানে ৫ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

হরিণাকুণ্ডুর সাধরণ মানুষের ভাষ্যমতে, সন্ত্রাসী হানিফ কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর রহমান, তাহেরহুদার আব্দুল কাদের ও পোলতাডাঙ্গার ইজাল মাষ্টারসহ শাতাধীক মানুষকে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করে। এরমধ্যে ইজাল মাষ্টারকে হত্যার পর তার মাথা কেটে উঠানে ফুটবল খেলে। সে সময় বিষয়টি দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

এদিকে, হানিফ সহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর জনৈক কালু পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়।

হোয়াটসআপ বার্তায় দাবি করা হয় “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ,কুষ্টিয়াা,যশোর ও খুলনাবাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মোঃ হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।

এদিকে দীর্ঘদিন পর চরমপন্থিদের গুলির লড়াই ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রদান জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের শাহনেওয়াজ, একই গ্রামের ফারুক, নুরু কানা ও কুষ্টিয়ার ভবানীপুর গ্রামে কটাকে গুলি ও জবাই করে হত্যা সন্ত্রাসীরা। এই মামলায় ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার আলী রেজা ওরফে কালু ও কুষ্টিয়া জেলার পিয়ারপুর গ্রামের মহসিন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। ঝিনাইদহ জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জাকারীয়াহ এই রায় প্রদান করেন।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর “ফাইভ মার্ডার” হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

জাসদ গণবাহিনীর নামে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এমন একটি বার্তা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কি কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই।”

আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা: দায় স্বীকার করে বার্তা

ঝিনাইদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information

ঝিনাইদহে কলা বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষক নিহত

ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা: নেপথ্যে রয়েছে যে কারণ

Update Time : ০১:১৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পুর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন। একসাথে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি সেচখালের পাশ থেকে তাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনজনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুটি মটরসাইকেল ও নিহতদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।

তারা হলেন- পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহাদনগর গ্রামের মো. হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে লিটন এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের আরজাদ আলীর ছেলে রাইসুল ইসলাম। নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত চরমপন্থি নেতা হানিফ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে শেখ হাসিনা সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে হানিফ এলাকায় ফিরে আসেন এবং মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন।

এরপর থেকে হানিফ আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার শুরু করেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে চরমপন্থি হানিফ রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের চেষ্টা করতে থাকে।

একাধিক সুত্রে জানা গেছে, এই ট্রিপল মার্ডারের নেপথ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়ার বিশাল বাওড়। ওই বাওড়ে কোটি টাকার উপরে মাছ ছাড়া আছে। সম্প্রতি মৎস্যজীবী লীগ নেতা পরিচয়ে হানিফ বাওড়ে মাছ ধরা ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে এলাকার বিবাদমান একাধিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই সুত্র ধরেই হানিফসহ তার দুই সঙ্গীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়া বাওড় নিয়ে গত ৩০ বছরে অর্ধশত মানুষ খুন হয়েছে। হত্যার ধরণ দেখে বোঝা যায় তাদের কৌশলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একই স্থানে ৫ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

হরিণাকুণ্ডুর সাধরণ মানুষের ভাষ্যমতে, সন্ত্রাসী হানিফ কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর রহমান, তাহেরহুদার আব্দুল কাদের ও পোলতাডাঙ্গার ইজাল মাষ্টারসহ শাতাধীক মানুষকে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করে। এরমধ্যে ইজাল মাষ্টারকে হত্যার পর তার মাথা কেটে উঠানে ফুটবল খেলে। সে সময় বিষয়টি দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

এদিকে, হানিফ সহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর জনৈক কালু পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়।

হোয়াটসআপ বার্তায় দাবি করা হয় “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ,কুষ্টিয়াা,যশোর ও খুলনাবাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মোঃ হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।

এদিকে দীর্ঘদিন পর চরমপন্থিদের গুলির লড়াই ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রদান জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের শাহনেওয়াজ, একই গ্রামের ফারুক, নুরু কানা ও কুষ্টিয়ার ভবানীপুর গ্রামে কটাকে গুলি ও জবাই করে হত্যা সন্ত্রাসীরা। এই মামলায় ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার আলী রেজা ওরফে কালু ও কুষ্টিয়া জেলার পিয়ারপুর গ্রামের মহসিন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। ঝিনাইদহ জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জাকারীয়াহ এই রায় প্রদান করেন।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর “ফাইভ মার্ডার” হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

জাসদ গণবাহিনীর নামে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এমন একটি বার্তা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কি কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই।”

আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা: দায় স্বীকার করে বার্তা

ঝিনাইদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে

সবুজদেশ/এসএএস