ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৯৭ হাজার পরিবার পাচ্ছেন টিসিবি’র পণ্য

 

মাহে রমজান উপলক্ষ্যে কমমূল্যে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার ৫০৫টি পরিবার। এর মধ্যে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারকে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর, আরাপপুর ও হামদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ট্রাকে করে জেলা ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা/বুট ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। কম মূল্যে এসব পণ্য নেওয়ার জন্য নারী-পরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে। ঝিনাইদহ শহরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় পণ্য বিক্রি শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। একই সময় শহরের আরাপপুর, হামদহ, ওয়াজির আলী হাইস্কুল ময়দানসহ ৫টি স্পটে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

ঝিনাইদহ টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া টিসিবির নির্ধারিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরা জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা/বুট দেয়া হচ্ছে। দাম পড়ছে ৪৫০ টাকা। তবে টিসিবির কার্ডধারী নয় এমন ব্যক্তিরা কেবল দুই কেজি ছোলা/বুট পাচ্ছেন।

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ার মর্জিনা খাতুন বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পণ্যগুলো পেয়ে আমাদের একটু উপকার হয়। আমরা চাই, এই মাল যেন গরিব মানুষ পায়। ব্যাপারীপাড়ার তহুরা খাতুন জানান, টিসিবি পন্য তাদের মাহে রমজানে আরামদায়ক স্বস্তি দিয়েছে। কম টাকায় তারা পন্য পেয়ে খুশি।

টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির কার্ড বা পণ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে টিসিবির এই পণ্যগুলো পৌছে দেয়ার যে চেষ্টা করছে। আমরা সবাই মিলে সেটি বাস্তবায়ন করতে চাই। জেলাব্যাপী টিসিবির পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেলে আমরা সাথে সাথে সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই উদ্যোগটি সফল করতে তিনি সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

সবুজদেশ/এসইউ

ঝিনাইদহে ৯৭ হাজার পরিবার পাচ্ছেন টিসিবি’র পণ্য

Update Time : ০৩:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

মাহে রমজান উপলক্ষ্যে কমমূল্যে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার ৫০৫টি পরিবার। এর মধ্যে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারকে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর, আরাপপুর ও হামদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ট্রাকে করে জেলা ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা/বুট ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। কম মূল্যে এসব পণ্য নেওয়ার জন্য নারী-পরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে। ঝিনাইদহ শহরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় পণ্য বিক্রি শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। একই সময় শহরের আরাপপুর, হামদহ, ওয়াজির আলী হাইস্কুল ময়দানসহ ৫টি স্পটে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

ঝিনাইদহ টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া টিসিবির নির্ধারিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরা জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা/বুট দেয়া হচ্ছে। দাম পড়ছে ৪৫০ টাকা। তবে টিসিবির কার্ডধারী নয় এমন ব্যক্তিরা কেবল দুই কেজি ছোলা/বুট পাচ্ছেন।

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ার মর্জিনা খাতুন বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পণ্যগুলো পেয়ে আমাদের একটু উপকার হয়। আমরা চাই, এই মাল যেন গরিব মানুষ পায়। ব্যাপারীপাড়ার তহুরা খাতুন জানান, টিসিবি পন্য তাদের মাহে রমজানে আরামদায়ক স্বস্তি দিয়েছে। কম টাকায় তারা পন্য পেয়ে খুশি।

টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির কার্ড বা পণ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে টিসিবির এই পণ্যগুলো পৌছে দেয়ার যে চেষ্টা করছে। আমরা সবাই মিলে সেটি বাস্তবায়ন করতে চাই। জেলাব্যাপী টিসিবির পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেলে আমরা সাথে সাথে সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই উদ্যোগটি সফল করতে তিনি সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

সবুজদেশ/এসইউ