ফাইল ফটো

মাগুরাঃ

পাওনা টাকা আদায় করে জামাই বাড়িতে যাচ্ছিলেন মাগুরার জোকা গ্রামের মরিচ ব্যবসায়ী জালাল হোসেন (৫০)। কিন্তু তার আর জামাই বাড়ি যাওয়া হলো না।

শুক্রবার উপজেলার জোকা গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে পাওয়া তার লাশ। তবে তার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও পরিবারের সদস্যরা হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করছে।

নিহত ব্যবসায়ী জালাল হোসেন শ্রীপুর উপজেলার জোকা গ্রামের আবু তালের মোল্যার ছেলে। তিনি লাঙ্গলবাঁধ ও খামারপাড়া বাজারে কাঁচা মরিচের ব্যবসা করে থাকেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, জালাল হোসেন বৃহস্পতিবার লাঙ্গলবাঁধ বাজার শেষে সন্ধ্যায় তিনি শ্রীপুর বাজারে যান। সেখানে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে জামাইকে দেয়ার জন্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাত ৯টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিহতের স্ত্রী কমলা বেগম বলেন, রাতে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে বেশ দূরে খোলা মাঠের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর বিকালে ময়নাতদন্তের জন্যে মাগুরা সদর হাসপাতালের পাঠায়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, শরীরে কোথায়ও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, তার কাছে ৭০ হাজার টাকার কোনো বান্ডিল পাওয়া যায়নি। তবে তার পকেটে ২ হাজার ১৪০ টাকা ছিল।

তবে পুলিশের আত্মহত্যার ধারণাকে পরিবারের পক্ষ থেকে অমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

নিহতের ছোট ভাই হাশেম মোল্যা বলেন, ভাই সুনামের সঙ্গেই ব্যবসা করে আসছেন। কারো সঙ্গেই তার কোনো বিরোধ নেই। পরিবারেও কোনো ঝামেলা নেই। বিধায় আত্মহত্যার কোনো বিষয় নয়, তাকে হত্যা করেই ফেলে রাখা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here