ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টানা বৃষ্টিতে কোটচাঁদপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

 

আষাঢ়ের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জনজীবন। বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। এতে করে নিম্নের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

জানা গেছে, আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এর পর থেকে টানা ২৩ দিন ধরে কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে ।

সোমবার(৭ জুলাই ) দুপুরে সরজমিনে জেলা শহরে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে যানবাহন খুবই কম। বৃষ্টির মধ্যে অল্পকিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। শুধু জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রিকশাচালক ও শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষরা। রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় তারাও পড়েছে চরম বিপাকে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই । অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ইজিবাইক চালক মতিয়ার রহমান বলেছেন, আষাঢ় মাস শুরু থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ কম। আমরা বৃষ্টির মধ্যে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না।

দিনমজুর রফিকুল মিয়া বলেছেন, বৃষ্টির কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

রিক্সাচালক আমির হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে শহরে তেমন লোকজন নেই। তারপরও ছাতি মাথায় দিয়ে টুকটুক করে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যদি দুই একটা যাত্রী পাই। ভাড়া না মারতে পারলে সংসার চালাবো কি দিয়ে। উপজেলা নিম্নাঞ্চলের ফসলি ক্ষেতও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে আমনচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

তবে কৃষি অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির এই পানি স্বল্প সময় জমে থাকবে তাই আমন চাষে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

টানা বৃষ্টিতে কোটচাঁদপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

Update Time : ০২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

আষাঢ়ের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জনজীবন। বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। এতে করে নিম্নের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

জানা গেছে, আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এর পর থেকে টানা ২৩ দিন ধরে কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে ।

সোমবার(৭ জুলাই ) দুপুরে সরজমিনে জেলা শহরে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে যানবাহন খুবই কম। বৃষ্টির মধ্যে অল্পকিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। শুধু জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রিকশাচালক ও শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষরা। রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় তারাও পড়েছে চরম বিপাকে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই । অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ইজিবাইক চালক মতিয়ার রহমান বলেছেন, আষাঢ় মাস শুরু থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ কম। আমরা বৃষ্টির মধ্যে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না।

দিনমজুর রফিকুল মিয়া বলেছেন, বৃষ্টির কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

রিক্সাচালক আমির হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে শহরে তেমন লোকজন নেই। তারপরও ছাতি মাথায় দিয়ে টুকটুক করে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যদি দুই একটা যাত্রী পাই। ভাড়া না মারতে পারলে সংসার চালাবো কি দিয়ে। উপজেলা নিম্নাঞ্চলের ফসলি ক্ষেতও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে আমনচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

তবে কৃষি অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির এই পানি স্বল্প সময় জমে থাকবে তাই আমন চাষে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

সবুজদেশ/এসএএস