ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেস্ট রাবাদার ২০০

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। তুলনা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা পেসার মাখায়া এনটিনির সঙ্গে। তবে উইকেটের পর উইকেট তুলে রেকর্ডের ডালি সাজিয়ে কাগিসো রাবাদা নিজের পথ করেছেন আরও মসৃণ। আজই (বৃহস্পতিবার) যেমন নতুন এক কীর্তি গড়লেন প্রোটিয়া পেসার। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেট, বলের হিসাবে যা ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম।

রাবাদার মাইলফলক ছোঁয়ার দিনটা হতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু দিনের শেষটা ভালো হয়নি তাদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৭। এর আগে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩৭৮ রানে। সফরকারীরা লিড নিয়েছে ২৯ রানের।

রাবাদা ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন দ্বিতীয় দিনেই। তাতে ১৯৯ উইকেট নিয়ে নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলেন এই পেসার। অপেক্ষাটা তার দীর্ঘই হয়েছে। অবশেষে হাসান আলীকে বোল্ড করে পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেট। মাত্র ৪৪ টেস্ট লেগেছে উইকেটের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করতে। ম্যাচের হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তার চেয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট পেয়েছেন কেবল ডেল স্টেইন। সাবেক এই পেসারের লেগেছিল ৩৯ ম্যাচ। এখানে পৌঁছাতে সবচেয়ে দ্রুততম বোলার পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ (৩৩ ম্যাচ)।

বলের হিসাবে আবার রাবাদা তৃতীয় দ্রুততম পেসার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন। প্রোটিয়া পেসারের করেছেন ৮ হাজার ১৫৪ বল। তার ওপরে আছেন ওয়াকার ইউনুস (৭ হাজার ৭৩০) ও ডেল স্টেইন (৭ হাজার ৮৪৮)।

রাবাদার মাইলফলক স্পর্শ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিন এলগারের বিদায়ের আগে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪৮ রান। ওই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে হতাশা ঝেরে ফেলার ইঙ্গিত দেয় এইডেন মারক্রাম-রাসি ফন ডের ডুসেন জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ১২৭ রান। দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ইয়াসির শাহের শেষ বিকেলের ছোবলে দিনটা আর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়নি।

এই স্পিনারের শিকার হয়ে ফন ডের ডুসেন ৬৪ রান করে ফেরার কিছুক্ষণ পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ফাফ ডু প্লেসি (১০)। ওই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবার ফিরে যান মারক্রাম। তার প্রতিরোধ গড়া ২২৪ বলের ইনিংসটি শেষ হয় ৭৪ রানে। না্ইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ (২*) ও কুইন্টন ডি কক (০*) দিনের বাকি সময়টা পার করেছেন।

ইয়াসির শাহর শিকার ৩ উইকেট। আর নোমান আলী নিয়েছেন ১ উইকেট। 

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
১৯৯ Time View

টেস্ট রাবাদার ২০০

আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। তুলনা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা পেসার মাখায়া এনটিনির সঙ্গে। তবে উইকেটের পর উইকেট তুলে রেকর্ডের ডালি সাজিয়ে কাগিসো রাবাদা নিজের পথ করেছেন আরও মসৃণ। আজই (বৃহস্পতিবার) যেমন নতুন এক কীর্তি গড়লেন প্রোটিয়া পেসার। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেট, বলের হিসাবে যা ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম।

রাবাদার মাইলফলক ছোঁয়ার দিনটা হতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু দিনের শেষটা ভালো হয়নি তাদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৭। এর আগে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩৭৮ রানে। সফরকারীরা লিড নিয়েছে ২৯ রানের।

রাবাদা ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন দ্বিতীয় দিনেই। তাতে ১৯৯ উইকেট নিয়ে নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলেন এই পেসার। অপেক্ষাটা তার দীর্ঘই হয়েছে। অবশেষে হাসান আলীকে বোল্ড করে পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেট। মাত্র ৪৪ টেস্ট লেগেছে উইকেটের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করতে। ম্যাচের হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তার চেয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট পেয়েছেন কেবল ডেল স্টেইন। সাবেক এই পেসারের লেগেছিল ৩৯ ম্যাচ। এখানে পৌঁছাতে সবচেয়ে দ্রুততম বোলার পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ (৩৩ ম্যাচ)।

বলের হিসাবে আবার রাবাদা তৃতীয় দ্রুততম পেসার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন। প্রোটিয়া পেসারের করেছেন ৮ হাজার ১৫৪ বল। তার ওপরে আছেন ওয়াকার ইউনুস (৭ হাজার ৭৩০) ও ডেল স্টেইন (৭ হাজার ৮৪৮)।

রাবাদার মাইলফলক স্পর্শ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিন এলগারের বিদায়ের আগে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪৮ রান। ওই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে হতাশা ঝেরে ফেলার ইঙ্গিত দেয় এইডেন মারক্রাম-রাসি ফন ডের ডুসেন জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ১২৭ রান। দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ইয়াসির শাহের শেষ বিকেলের ছোবলে দিনটা আর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়নি।

এই স্পিনারের শিকার হয়ে ফন ডের ডুসেন ৬৪ রান করে ফেরার কিছুক্ষণ পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ফাফ ডু প্লেসি (১০)। ওই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবার ফিরে যান মারক্রাম। তার প্রতিরোধ গড়া ২২৪ বলের ইনিংসটি শেষ হয় ৭৪ রানে। না্ইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ (২*) ও কুইন্টন ডি কক (০*) দিনের বাকি সময়টা পার করেছেন।

ইয়াসির শাহর শিকার ৩ উইকেট। আর নোমান আলী নিয়েছেন ১ উইকেট।