ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চাইলেন চিকিৎসক

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৬:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করতে ডিবি চাপ দেয় বলে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চেয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।

ফাঁসি চাওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ায় ডিবি পুলিশের হুমকি পেয়েছেন বলেও জানান ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডিবির লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেয়।’

সে সময় ডিবি পুলিশের সদস্যরা এই সাক্ষীকে বলেন, ‘অতি উৎসাহী হবেন না। আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ দেবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে এদিন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে হিসেবে এই চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এছাড়া একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীনও সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চাইলেন চিকিৎসক

Update Time : ০৬:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করতে ডিবি চাপ দেয় বলে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চেয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।

ফাঁসি চাওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ায় ডিবি পুলিশের হুমকি পেয়েছেন বলেও জানান ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডিবির লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেয়।’

সে সময় ডিবি পুলিশের সদস্যরা এই সাক্ষীকে বলেন, ‘অতি উৎসাহী হবেন না। আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ দেবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে এদিন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে হিসেবে এই চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এছাড়া একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীনও সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।

সবুজদেশ/এসএএস