ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্য-অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন
জব্বার বলেন, “বস্তুতপক্ষে (আইসিটি) আইনটির চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল তার (৫৭ ধারার) অপপ্রয়োগ। অতএব অপপ্রয়োগটা যাতে না হতে পারে সেই জায়গাটা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য।”
৫৭ ধারা সংক্রান্ত যেসব অপরাধ ছিল নতুন আইনে পুলিশ সেসব বিষয়ে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালকের অনুমতিক্রমে কেবল ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ফলে অপপ্রয়োগের জায়গাটাকে আমরা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।”
বর্তমানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৫৭ ধারায় মামলা হয় না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “৫৭ ধারা বস্তুতপক্ষে ডেড। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বুধবার স্থায়ী কমিটিতে প্রায় চূড়ান্ত করেছি। সেটি পাস হওয়ার পরে ৫৭ ধারা নামক কোনো বস্তুর অস্থিত্ব থাকবে না, সুতরাং এটা নিয়ে টেনশনেরও কোনো কারণ নেই।
“প্রকৃত পরিস্থিতি দেখে এখন এমন কোনো মামলা হতে দেখি না যেটি বস্তুতপক্ষে অপপ্রয়োগ।”
৫৭ ধারায় হওয়া মামলাগুলো স্বাভাবিক গতিতে আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে মামলা যেভাবে যে আইনের আওতায় আছে ওটা ওভাবেই নিষ্পত্তি হতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সব থেকে শক্ত পিলারটা হওয়া দরকার জেলা থেকে, তারপর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত।
“ডিজিটাল বাংলাদেশের বিস্তৃতির জন্য যে কয়টি কাজ করছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে কানেকটিভিটি। কানেকটিভিটিটাকে এই পর্যায়ে নিচ্ছি যাতে ২০১৯ সালের ভেতরে বাংলাদেশের কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে ফাইবার অপটিক কানেকটিভিটি থাকবে না। দূর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপ থাকবে না যেখানে মোবাইল ও মোবাইল ব্রডব্যান্ড পাবেন ন।”
বারশ’র মত সেবা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে জব্বার বলেন, এই সেবাগুলো যেন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি। ডিসিদের সহায়তা ছাড়া আমাদের কাজ করা কঠিন। দেশের প্রায় সমস্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের সহযোগিতা দরকার।