ডিসি নিজের কাঁধে হতদরিদ্রদের ঘরে পৌঁছে দিলেন খাদ্য সামগ্রী
এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাটঃ
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ নিজেই কাঁধে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে পৌছে দিলেন খাদ্য সামগ্রী। রোববার সকাল থেকে বাগেরহাট জেলায় সরকারী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই খাদ্য বিতরণ শুরু হয়।
সরকারী ভাবে জেলার ১০ হাজার মানুষ এবং বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্যে শেখ হেলাল উদ্দীনের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ২০ হাজার দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের লোকজনের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। করোনা পরিস্থিত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের কাঁধে করে খাবার নেয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এই ছবি দেখে জেলা প্রশাসকের এমন কাজকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকে।
রোববার দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলা সদরের জেলে পল্লীতে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ।
এসময় মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) ওবায়দুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মন্ডল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীনের একান্ত সহকারী ফিরোজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের রাজমিস্ত্রির জোগাল (সহকারী) ফজর আলী জানান, করোনার ভয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না তিনি। এতে ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পগতে হয়েছে তাকে। এই সহায়তায় তার অনেক উপকার হবে।
গ্রামে ফেরী করে বাশের জিনিষপত্র বিক্রেতা রীতা রানী বলেন , গত ৪ দিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বাড়ির সব কিছু ফুরিয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের পক্ষ থেকে চাল, ডালসহ অনেক কিছু পেয়েছি। এতে আমাদের কয়েক দিন চলবে।
বাগেরহাটের দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারী ভাবে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অভাবী পরিবারগুলোকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ ও সাবান পৌছে দেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লোকজন ঘরে থাকছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার ও সংসদ সদস্যবৃন্দ যে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে, তা ঘরে ঘরে দেয়া হচ্ছে।