ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন হতে যাচ্ছে বর্তমান সংসদ বহাল রেখে। বর্তমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করাটা ক্ষমতাসীনদের খায়েশ হলেও এর সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। সংসদ রেখে যে নির্বাচন হবে তা কখনই অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না। সরকারবিরোধীরা বর্তমান সংসদকে বহাল রেখে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার পরে নতুন সংসদ গঠন করা যাবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং সংবিধানেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। নতুন সংসদ গঠন করা এককভাবে নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও অনিচ্ছার ওপর। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হেরে গেলে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এমন আস্থা ও বিশ্বাস বিরোধীপক্ষ বিশেষ করে বিএনপির নেই। কেন নেই সেই বিশ্লে­ষণে নাই বা গেলাম। তাই এরকম অনিশ্চয়তায় কোনো প্রকৃত রাজনীতিবিদ বা দল নির্বাচনে যাবে কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে ভাবসাবে মনে হচ্ছে অন্য কেউ নির্বাচনে না এলেও নিজেদের লোক দিয়ে সরকার নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইবে এবং হয়তো পারবেও। দেশে হালুয়া-রুটির জন্য রাজনীতি করার লোকের কোনো অভাব নেই এবং থাকবেও না। তার ওপর চাকরি, পদ ও পদোন্নতি লোভী আমলারা তো আছেই। দেশের প্রশাসন বহুবার প্রমাণ করেছে নীতি নৈতিকতা কোনো কিছুর ওপরে তারা বিশ্বাস করে না। দেশের পুলিশ ও প্রশাসন তাদের কায়েমি স্বার্থে রাতকে দিন এবং দিনকে রাত এমনকি পুরুষকে নারী ও নারীকে পুরুষ বানাতে পারে। নির্বাচন করানো তাদের হাতের মোয়া। যেমন নির্বাচন সরকার চাইবে তেমন নির্বাচনই তারা করিয়ে দেবে। কাজেই সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব তবে তা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনের প্রার্থী অনেক পাওয়া যাবে। সংসদ রেখে নির্বাচনে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থীকে জয়ী করে আনা হবে না। ত্বরিতকর্মা পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন অতীতের সেই ভুল আর করবে না। সংসদ রেখে নির্বাচনে এবার প্রচুর হা হুজুর মার্কা প্রার্থী হবে এবং পর্দার অন্তরালে আসন ভাগাভাগি করে লোক দেখানো নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই এর আলামত শুরু হয়েছে। তবে সংসদ রেখে নির্বাচন হলে যেমন অনেক বড় রাজনৈতিক দল ও সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি নির্বাচনে যাবে না তেমনি জনগণও বয়কটের ডাক না দিলেও নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না। এটি জনগণের মনের কথা। সরকারও ভালো করে জানে সংসদ রেখে নির্বাচন করতে গেলে তা জনগণ ভোট দিতে এগিয়ে আসবে না। তাই সরকার আগেভাগেই ঢাকঢোল পিটায়ে হাটে মাঠে ঘাটে প্রচার প্রপাগান্ডা করে বেড়াচ্ছে যে সংসদ রেখেই নির্বাচন হবে। সরকার শেষ পর্যন্ত বলে ফেলেছে কোনো শক্তিই সংসদ রেখে নির্বাচন থেকে সরকারকে সরাতে পারবে না। তাহলে তো ল্যাটা চুকেই গেল। তার ওপরে সরকারও বলে বেড়াচ্ছে কে নির্বাচনে এলো বা না এলো তার জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যজোট গঠনের একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে যেখানে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বড় জোট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই জোট শুরুতেই বলে দিয়েছে বর্তমান সংসদ রেখে নির্বাচন করা যাবে না। বিএনপিও বলছে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বামদলীয় জোটও দাবি করছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য। ইসলামিক ঐক্যজোট নামে ইসলামিক দলগুলোও বলছে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। তার মানে একমাত্র সরকার ও তার অনুগতরা যারা এই সংসদের সদস্য এবং সুবিধাভোগী তারা তাদের স্বার্থেই সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চাইবে। সরকার ও তাদের অনুগতদের কায়েমি স্বার্থে রাষ্ট্র বা সংবিধান কেন সুবিধা করে দেবে এই নৈতিক প্রশ্নের জবাব জনগণ অবশ্যই চাইতে পারে। বর্তমান সরকার এবং সংসদ একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে ২০১১ সালে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের বিধিব্যবস্থা সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ প্রণয়ন করে সরকার সেদিন সংবিধান তাদের মতো করে সংশোধন করে নিয়েছে। পরবর্তীতে এই সংশোধনী মোতাবেক সরকার ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের কারণে সেদিন বিএনপিসহ কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। অর্থাৎ সংবিধান সংশোধনী অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেয়নি। ওই নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি এবং জনগণও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিপক্ষে জনগণের অনাস্থা প্রমাণ করে দিল। তারপর সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতায় পাঁচ বছর থেকে গেছে। কাজেই ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিয়ে এখন কোনো প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তাছাড়া দখলী স্বত্ব আইনের চোখে একটি স্বত্ব। ক্ষমতায় থাকা নিয়ে জনগণের কোনো প্রশ্ন নেই তবে সংবিধানের ১২৩(৩) উপঅনুচ্ছেদ যা সংশোধন করে যে নতুন ১২৩(৩)(ক) ও (খ) উপউপঅনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করা হয়েছে তা ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেহেতু ২০১৪ সালে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন যা মোট সদস্যের ৫১.৩৩% ভাগ অর্থাৎ ৫১.৩৩% ভাগ জনগণের বর্তমান সংসদের ওপর আস্থা নেই এবং এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পক্ষে জনগণের ৫ জনেরও সমর্থন নেই। বর্তমান জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক কোনো ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে চায় তাহলে তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের ন্যূনতম ১% ভোটারের দস্তখতকৃত সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে কিন্তু এই ১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বেলায় তাও দরকার হয়নি। এই ১৫৪ জন সংসদ সদস্য অনৈতিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যা গত ৫ বছরে নীরবে মেনে নেওয়ার ফলে হয়তো এক ধরনের বৈধতা পেয়ে গেছেন। এ বিষয়টি যেহেতু গত হয়ে গিয়েছে তাই এর সংশোধনের কোনো সুযোগ এখন নেই। কিন্তু আগামীতে যাতে এই ধরনের অনৈতিক ও গর্হিত কাজ না ঘটে তা নিশ্চিত করা দেশের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজ নৈতিক দায়িত্ব। এখন সংসদ রেখে যদি আবারও সংবিধানের দোহাই দিয়ে ১২৩(৩)(ক) উপউপঅনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন হয় তাহলে এবার হয়তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো নির্বাচন হবে না কারণ সরকার অতিচাতুরতা করে প্রতিটি আসনে একজন করে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেবে। এই ডামি প্রার্থী দাঁড় করানো হয়তো আইনের চোখে সঠিক কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে চরম অনৈতিক। এই অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়াও হবে আরেকটি চরম অনৈতিক কাজ যা হয়তো অনেক রাজনৈতিক দল করতে যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কটের ডাক হয়তো দেবে না কারণ তাতে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সুযোগ সৃষ্টি হবে কিন্তু তারা হয়তো এ ধরনের একটি অনৈতিক নির্বাচনে যাবে না এবং না যাওয়ার তাদের ১০০ ভাগ অধিকার অবশ্যই আছে।

ইতিমধ্যেই আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য অনেক ইতিবাচক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কমনওয়েলথের মহাসচিব বিএনপির মহাসচিবকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানটিই তুলে ধরবেন যেখানে অবশ্যই স্পষ্টভাবেই উল্লে­খ থাকতে পারে যে নির্বাচন হতে হবে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে। নিশ্চয় কমনওয়েলথ মহাসচিব সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। কিন্তু কমনওয়েলথ মহাসচিব যখন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএনপির মহাসচিবকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দিয়েছেন তাহলে কমনওয়েলথ মহাসচিব নিশ্চয় বিএনপির মহাসচিবের অবস্থানটি সরকারকে যথাযথভাবে জানাবেন। এখন যদি সরকার বিএনপির অবস্থানের ওপর বাস্তব, যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য ও সম্ভব ছাড়গুলোও না দেয় তাহলে কমনওয়েলথ মহাসচিবের চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা অবশ্যই কমনওয়েলথের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মহাসচিবের অবশ্যই জানা আছে তা নিঃসন্দেহে সবাই স্বীকার করবে। সবাই বুঝে এবং জানে বিএনপির সব দাবি এই মুহূর্তে বা নির্বাচনের আগে সরকার মানবে না বা হয়তো মানা সম্ভবও হবে না কিন্তু সরকার চাইলে এবং কমনওয়েলথ মহাসচিব  আন্তরিকভাবে সরকারের কাছে অনুরোধ করলে বর্তমান সংসদ ভেঙে এবং সরকার পদত্যাগ করে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থাটি কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে হবে না। তবে চরম বাস্তবতা হলো আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে যদি না কমনওয়েলথ মহাসচিব সরকারকে সংসদ বিলুপ্ত করতে রাজি করাতে না পারে।

জাতিসংঘ থেকে ফিরে এসে সংবাদ সম্মেলনে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, বিদেশের অনেক সরকার প্রধান বা নেতারা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বক্তব্যটি খুবই আশাব্যঞ্জক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আশাব্যঞ্জক এই জন্য যে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের তেমন পরিবর্তন নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাচ্ছে না কারণ সম্ভবত সব রাষ্ট্রই চীন বা রাশিয়ার মতো ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা নিয়েই নিয়েছে। কাজেই তাদেরও ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না আর আমাদেরটা যে হবেই না তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার!! আর তাৎপর্যপূর্ণ এই জন্য যে সবাই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন। আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে হলে তো প্রথমে ক্ষমতা ছাড়তে হবে তার পরে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতাদের অতি সূক্ষণ রাজনৈতিক বক্তব্যের মূল সুর বুঝতে ভুল করে ফেলেছেন?

বাংলাদেশের জনগণও চায় প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় আসুক। জনগণ চায় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসুক। পুলিশ এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে এবং টিকিয়ে রাখছে এই অপবাদ জনগণ আর শুনতে চাচ্ছে না। জনগণের প্রত্যাশা জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। জনগণ একটি অবাধ নির্বাচন চায়। জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক যেখানে জনগণ সব ভয়ভীতি, লোভ লালসার ঊর্ধ্বে নিজের ভোট নিজে দিয়ে নিজের মনমতো সরকার গঠন করবে।

জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করে ক্ষমতার পালাবদলের শান্তিপূর্ণ পথ নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট হয়ে যাবে। জনগণ একজন সৎ ও জনগণের প্রতি নিবেদিত নেতা চায় যার কাছে সব জনগণের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে এবং যিনি দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন। যিনিই জনগণের এই ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারবেন জনগণ তার পেছনেই থাকবে।

পরিশেষে বলতে চাই জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। সংসদ বিলুপ্ত করে সরকার যত তাড়াতাড়ি সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে জনগণের ততই মঙ্গল। জনগণ এই আশাবাদ নিয়ে অপেক্ষা করছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮
৮৩৩ Time View

ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম

আপডেট সময় : ০৯:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন হতে যাচ্ছে বর্তমান সংসদ বহাল রেখে। বর্তমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করাটা ক্ষমতাসীনদের খায়েশ হলেও এর সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। সংসদ রেখে যে নির্বাচন হবে তা কখনই অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না। সরকারবিরোধীরা বর্তমান সংসদকে বহাল রেখে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার পরে নতুন সংসদ গঠন করা যাবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং সংবিধানেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। নতুন সংসদ গঠন করা এককভাবে নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও অনিচ্ছার ওপর। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হেরে গেলে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এমন আস্থা ও বিশ্বাস বিরোধীপক্ষ বিশেষ করে বিএনপির নেই। কেন নেই সেই বিশ্লে­ষণে নাই বা গেলাম। তাই এরকম অনিশ্চয়তায় কোনো প্রকৃত রাজনীতিবিদ বা দল নির্বাচনে যাবে কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে ভাবসাবে মনে হচ্ছে অন্য কেউ নির্বাচনে না এলেও নিজেদের লোক দিয়ে সরকার নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইবে এবং হয়তো পারবেও। দেশে হালুয়া-রুটির জন্য রাজনীতি করার লোকের কোনো অভাব নেই এবং থাকবেও না। তার ওপর চাকরি, পদ ও পদোন্নতি লোভী আমলারা তো আছেই। দেশের প্রশাসন বহুবার প্রমাণ করেছে নীতি নৈতিকতা কোনো কিছুর ওপরে তারা বিশ্বাস করে না। দেশের পুলিশ ও প্রশাসন তাদের কায়েমি স্বার্থে রাতকে দিন এবং দিনকে রাত এমনকি পুরুষকে নারী ও নারীকে পুরুষ বানাতে পারে। নির্বাচন করানো তাদের হাতের মোয়া। যেমন নির্বাচন সরকার চাইবে তেমন নির্বাচনই তারা করিয়ে দেবে। কাজেই সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব তবে তা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনের প্রার্থী অনেক পাওয়া যাবে। সংসদ রেখে নির্বাচনে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থীকে জয়ী করে আনা হবে না। ত্বরিতকর্মা পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন অতীতের সেই ভুল আর করবে না। সংসদ রেখে নির্বাচনে এবার প্রচুর হা হুজুর মার্কা প্রার্থী হবে এবং পর্দার অন্তরালে আসন ভাগাভাগি করে লোক দেখানো নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই এর আলামত শুরু হয়েছে। তবে সংসদ রেখে নির্বাচন হলে যেমন অনেক বড় রাজনৈতিক দল ও সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি নির্বাচনে যাবে না তেমনি জনগণও বয়কটের ডাক না দিলেও নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না। এটি জনগণের মনের কথা। সরকারও ভালো করে জানে সংসদ রেখে নির্বাচন করতে গেলে তা জনগণ ভোট দিতে এগিয়ে আসবে না। তাই সরকার আগেভাগেই ঢাকঢোল পিটায়ে হাটে মাঠে ঘাটে প্রচার প্রপাগান্ডা করে বেড়াচ্ছে যে সংসদ রেখেই নির্বাচন হবে। সরকার শেষ পর্যন্ত বলে ফেলেছে কোনো শক্তিই সংসদ রেখে নির্বাচন থেকে সরকারকে সরাতে পারবে না। তাহলে তো ল্যাটা চুকেই গেল। তার ওপরে সরকারও বলে বেড়াচ্ছে কে নির্বাচনে এলো বা না এলো তার জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যজোট গঠনের একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে যেখানে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বড় জোট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই জোট শুরুতেই বলে দিয়েছে বর্তমান সংসদ রেখে নির্বাচন করা যাবে না। বিএনপিও বলছে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বামদলীয় জোটও দাবি করছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য। ইসলামিক ঐক্যজোট নামে ইসলামিক দলগুলোও বলছে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। তার মানে একমাত্র সরকার ও তার অনুগতরা যারা এই সংসদের সদস্য এবং সুবিধাভোগী তারা তাদের স্বার্থেই সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চাইবে। সরকার ও তাদের অনুগতদের কায়েমি স্বার্থে রাষ্ট্র বা সংবিধান কেন সুবিধা করে দেবে এই নৈতিক প্রশ্নের জবাব জনগণ অবশ্যই চাইতে পারে। বর্তমান সরকার এবং সংসদ একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে ২০১১ সালে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের বিধিব্যবস্থা সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ প্রণয়ন করে সরকার সেদিন সংবিধান তাদের মতো করে সংশোধন করে নিয়েছে। পরবর্তীতে এই সংশোধনী মোতাবেক সরকার ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের কারণে সেদিন বিএনপিসহ কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। অর্থাৎ সংবিধান সংশোধনী অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেয়নি। ওই নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি এবং জনগণও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিপক্ষে জনগণের অনাস্থা প্রমাণ করে দিল। তারপর সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতায় পাঁচ বছর থেকে গেছে। কাজেই ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিয়ে এখন কোনো প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তাছাড়া দখলী স্বত্ব আইনের চোখে একটি স্বত্ব। ক্ষমতায় থাকা নিয়ে জনগণের কোনো প্রশ্ন নেই তবে সংবিধানের ১২৩(৩) উপঅনুচ্ছেদ যা সংশোধন করে যে নতুন ১২৩(৩)(ক) ও (খ) উপউপঅনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করা হয়েছে তা ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেহেতু ২০১৪ সালে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন যা মোট সদস্যের ৫১.৩৩% ভাগ অর্থাৎ ৫১.৩৩% ভাগ জনগণের বর্তমান সংসদের ওপর আস্থা নেই এবং এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পক্ষে জনগণের ৫ জনেরও সমর্থন নেই। বর্তমান জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক কোনো ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে চায় তাহলে তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের ন্যূনতম ১% ভোটারের দস্তখতকৃত সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে কিন্তু এই ১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বেলায় তাও দরকার হয়নি। এই ১৫৪ জন সংসদ সদস্য অনৈতিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যা গত ৫ বছরে নীরবে মেনে নেওয়ার ফলে হয়তো এক ধরনের বৈধতা পেয়ে গেছেন। এ বিষয়টি যেহেতু গত হয়ে গিয়েছে তাই এর সংশোধনের কোনো সুযোগ এখন নেই। কিন্তু আগামীতে যাতে এই ধরনের অনৈতিক ও গর্হিত কাজ না ঘটে তা নিশ্চিত করা দেশের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজ নৈতিক দায়িত্ব। এখন সংসদ রেখে যদি আবারও সংবিধানের দোহাই দিয়ে ১২৩(৩)(ক) উপউপঅনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন হয় তাহলে এবার হয়তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো নির্বাচন হবে না কারণ সরকার অতিচাতুরতা করে প্রতিটি আসনে একজন করে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেবে। এই ডামি প্রার্থী দাঁড় করানো হয়তো আইনের চোখে সঠিক কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে চরম অনৈতিক। এই অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়াও হবে আরেকটি চরম অনৈতিক কাজ যা হয়তো অনেক রাজনৈতিক দল করতে যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কটের ডাক হয়তো দেবে না কারণ তাতে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সুযোগ সৃষ্টি হবে কিন্তু তারা হয়তো এ ধরনের একটি অনৈতিক নির্বাচনে যাবে না এবং না যাওয়ার তাদের ১০০ ভাগ অধিকার অবশ্যই আছে।

ইতিমধ্যেই আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য অনেক ইতিবাচক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কমনওয়েলথের মহাসচিব বিএনপির মহাসচিবকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানটিই তুলে ধরবেন যেখানে অবশ্যই স্পষ্টভাবেই উল্লে­খ থাকতে পারে যে নির্বাচন হতে হবে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে। নিশ্চয় কমনওয়েলথ মহাসচিব সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। কিন্তু কমনওয়েলথ মহাসচিব যখন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএনপির মহাসচিবকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দিয়েছেন তাহলে কমনওয়েলথ মহাসচিব নিশ্চয় বিএনপির মহাসচিবের অবস্থানটি সরকারকে যথাযথভাবে জানাবেন। এখন যদি সরকার বিএনপির অবস্থানের ওপর বাস্তব, যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য ও সম্ভব ছাড়গুলোও না দেয় তাহলে কমনওয়েলথ মহাসচিবের চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা অবশ্যই কমনওয়েলথের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মহাসচিবের অবশ্যই জানা আছে তা নিঃসন্দেহে সবাই স্বীকার করবে। সবাই বুঝে এবং জানে বিএনপির সব দাবি এই মুহূর্তে বা নির্বাচনের আগে সরকার মানবে না বা হয়তো মানা সম্ভবও হবে না কিন্তু সরকার চাইলে এবং কমনওয়েলথ মহাসচিব  আন্তরিকভাবে সরকারের কাছে অনুরোধ করলে বর্তমান সংসদ ভেঙে এবং সরকার পদত্যাগ করে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থাটি কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে হবে না। তবে চরম বাস্তবতা হলো আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে যদি না কমনওয়েলথ মহাসচিব সরকারকে সংসদ বিলুপ্ত করতে রাজি করাতে না পারে।

জাতিসংঘ থেকে ফিরে এসে সংবাদ সম্মেলনে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, বিদেশের অনেক সরকার প্রধান বা নেতারা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বক্তব্যটি খুবই আশাব্যঞ্জক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আশাব্যঞ্জক এই জন্য যে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের তেমন পরিবর্তন নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাচ্ছে না কারণ সম্ভবত সব রাষ্ট্রই চীন বা রাশিয়ার মতো ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা নিয়েই নিয়েছে। কাজেই তাদেরও ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না আর আমাদেরটা যে হবেই না তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার!! আর তাৎপর্যপূর্ণ এই জন্য যে সবাই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন। আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে হলে তো প্রথমে ক্ষমতা ছাড়তে হবে তার পরে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতাদের অতি সূক্ষণ রাজনৈতিক বক্তব্যের মূল সুর বুঝতে ভুল করে ফেলেছেন?

বাংলাদেশের জনগণও চায় প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় আসুক। জনগণ চায় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসুক। পুলিশ এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে এবং টিকিয়ে রাখছে এই অপবাদ জনগণ আর শুনতে চাচ্ছে না। জনগণের প্রত্যাশা জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। জনগণ একটি অবাধ নির্বাচন চায়। জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক যেখানে জনগণ সব ভয়ভীতি, লোভ লালসার ঊর্ধ্বে নিজের ভোট নিজে দিয়ে নিজের মনমতো সরকার গঠন করবে।

জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করে ক্ষমতার পালাবদলের শান্তিপূর্ণ পথ নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট হয়ে যাবে। জনগণ একজন সৎ ও জনগণের প্রতি নিবেদিত নেতা চায় যার কাছে সব জনগণের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে এবং যিনি দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন। যিনিই জনগণের এই ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারবেন জনগণ তার পেছনেই থাকবে।

পরিশেষে বলতে চাই জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। সংসদ বিলুপ্ত করে সরকার যত তাড়াতাড়ি সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে জনগণের ততই মঙ্গল। জনগণ এই আশাবাদ নিয়ে অপেক্ষা করছে।