‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ লেখার কারণ জানালেন পরীমনি
সবুজদেশ ডেস্ক:
জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে বের করে যখন এ আলোচিত নায়িকাকে গাড়িতে তোলা হয়েছে, তখন হাত নেড়ে ও সেলফি তুলে উল্লাস করেন। ভক্তরাও তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করে কারা ফটকের সামনে। গাড়িতে তোলা ছবিতে পরীমনির হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। তবে এই লেখা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন, পরীমনি এ কথা লিখলেন আর কাদের ইঙ্গিত করে লিখেছেন।
তবে সেই লেখার কারণ নিজেই জানিয়েছেন পরীমনি। এক গণমাধ্যমকে পরীমনি জানান, এটা তিনি ‘বিচ’দের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। পরীমনি বলেন, যারা বিচ তাদের উদ্দেশ্যে এমন কথা বলেছি। লেখাটা পড়ে যাদের মনে হবে, আল্লাহ, আমাকে নিয়ে এটা লিখল—তাদের উদ্দেশ্যেই এই লেখা।
ঢালিউড নায়িকা বলেন, ওদের তালিকা তো আমি নাম ধরে বলতে পারব না। আমাকে আটক, গ্রেফতার এবং কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের জীবন সার্থক মনে হয়েছে।
পরীমনি বলেন, কেউ কেউ তো খুশিতে নাচাও শুরু করেছে। যেই আমি ফিরে আসছি, অনেকে আবার মিস ইউ, লাভ ইউ বলা শুরু করছে। এই ধরনের ভালোবাসা আমার দরকার নাই। আমি তাদেরকেই বলেছি, তোমরা আমাকে ভালোবাইসো না। আমি যাদের জন্য পরীমনি, যারা সত্যি সত্যি আমাকে অন্তরের মধ্যে বসাইয়ে রাখছে, তাদের আমি সব সময় ভালোবাসি। আজীবন ভালোবাসি।
২৭ দিন পর মাদক মামলায় জামিন মেলে পরীমনির। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কারাগার থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।