ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাসহ দেশের আট জেলায় ডেঙ্গু রোগী বেশি

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ঈদের আগে থেকেই বাড়ছিল; এখনও সেই ধারা অব্যাহত আছে। তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় রোগী অনেক বেশি।

সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশালে। এর পর পর্যায়ক্রমে রয়েছে- যশোর, চট্টগ্রাম, খুলনা, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও বগুড়া জেলায়। এই সাত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বনিম্ন রোগী ভর্তি আছে ১০১ জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণায় সারা দেশে ইতোপূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার নির্ণয় করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত পরিচালিত এই গবেষণার ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। সেখানে দেখা গেছে, ওই সময়ে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ছিল ৪৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বরিশালে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪২ দশমিক ৮২, খুলনায় ৫৮ দশমিক ৪৩, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৭৭, রংপুরে ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সিলেটে ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এ থেকে সহজেই প্রতিয়মান হয় যে, ভয়াবহ পর্যায়ে না পৌঁছলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি কয়েক বছর আগে থেকেই ছিল আশঙ্কাজনক।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এখন সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন বরিশাল জেলায়। সেখানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪৭ জন এবং অন্য হাসপাতালে ৬১ রোগীসহ মোট ২০৮ রোগী ভর্তি আছেন।

যশোর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯১ রোগী এখনও চিকিৎসাধীন। চট্টগ্রাম ও খুলনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সমানসংখ্যক ১৬৫ জন করে রোগী ভর্তি আছেন। মানিকগঞ্জে ১৪৯, ময়মনসিংহে ১৩৬ এবং বগুড়ায় ১০১ রোগী ভর্তি আছেন।

এই সাত জেলায় রোগীর সংখ্যা কমছেই না। এতে করে সংশ্নিষ্টদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বুধবার নতুন করে বরিশালে ৬৮, মানিকগঞ্জে ৬০, যশোরে ৪৮, ময়মনসিংহে ৩০, খুলনায় ৪৪, চট্টগ্রামে ২৫ এবং বগুড়ায় ২৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সারা দেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে এক হাজার ৬২৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৭২ জন।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পর দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাব করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭১১ এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৯১৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে চলতি বছর ৫৭ হাজার ৯৯৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
৩২৫ Time View

ঢাকাসহ দেশের আট জেলায় ডেঙ্গু রোগী বেশি

আপডেট সময় : ০২:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ঈদের আগে থেকেই বাড়ছিল; এখনও সেই ধারা অব্যাহত আছে। তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় রোগী অনেক বেশি।

সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশালে। এর পর পর্যায়ক্রমে রয়েছে- যশোর, চট্টগ্রাম, খুলনা, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও বগুড়া জেলায়। এই সাত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বনিম্ন রোগী ভর্তি আছে ১০১ জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণায় সারা দেশে ইতোপূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার নির্ণয় করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত পরিচালিত এই গবেষণার ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। সেখানে দেখা গেছে, ওই সময়ে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ছিল ৪৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বরিশালে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪২ দশমিক ৮২, খুলনায় ৫৮ দশমিক ৪৩, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৭৭, রংপুরে ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সিলেটে ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এ থেকে সহজেই প্রতিয়মান হয় যে, ভয়াবহ পর্যায়ে না পৌঁছলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি কয়েক বছর আগে থেকেই ছিল আশঙ্কাজনক।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এখন সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন বরিশাল জেলায়। সেখানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪৭ জন এবং অন্য হাসপাতালে ৬১ রোগীসহ মোট ২০৮ রোগী ভর্তি আছেন।

যশোর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯১ রোগী এখনও চিকিৎসাধীন। চট্টগ্রাম ও খুলনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সমানসংখ্যক ১৬৫ জন করে রোগী ভর্তি আছেন। মানিকগঞ্জে ১৪৯, ময়মনসিংহে ১৩৬ এবং বগুড়ায় ১০১ রোগী ভর্তি আছেন।

এই সাত জেলায় রোগীর সংখ্যা কমছেই না। এতে করে সংশ্নিষ্টদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বুধবার নতুন করে বরিশালে ৬৮, মানিকগঞ্জে ৬০, যশোরে ৪৮, ময়মনসিংহে ৩০, খুলনায় ৪৪, চট্টগ্রামে ২৫ এবং বগুড়ায় ২৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সারা দেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে এক হাজার ৬২৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৭২ জন।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পর দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাব করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭১১ এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৯১৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে চলতি বছর ৫৭ হাজার ৯৯৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।