ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে ছাত্রকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ

Reporter Name

মাদকসেবী এবং বিএনপির কর্মী হিসেবে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র আহম্মেদ উল্লাহ সাদ্দামকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা। গত বুধবার দিবাগত রাত নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত তাকে মারধর করে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করেন সদ্য বিলুপ্ত ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাউসার আল আমিন।

জানা গেছে, বুধবার রাত নয়টার দিকে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে ক্লাস করে বের হওয়ার পর সাদ্দামকে কাউসার আল আমিনসহ কয়েকজন ধরে নিয়ে যায়। তারা তাকে ঢাকা কলেজের পুকুরপাড়ে নিয়ে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে তিনি গাঁজা ও ফেনসিডিল নিয়ে ঘোরেন বলে স্বীকারোক্তি দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে আরও মারধর করা হয়। তাকে তার বাসা থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে দিতে বলা হয়। এতেও রাজি না হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা মারধরের পর তিনি বিএনপি করে এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

এদিকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউসার আল আমিন। এই বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এই ছাত্রকে পুলিশে দেয়া হয়েছে কিছু তথ্য জানার জন্য। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানাবে কেন তাকে থানায় নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাস জানান, সাদ্দামের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৮৬০ Time View

ঢাবিতে ছাত্রকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মাদকসেবী এবং বিএনপির কর্মী হিসেবে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র আহম্মেদ উল্লাহ সাদ্দামকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা। গত বুধবার দিবাগত রাত নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত তাকে মারধর করে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করেন সদ্য বিলুপ্ত ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাউসার আল আমিন।

জানা গেছে, বুধবার রাত নয়টার দিকে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে ক্লাস করে বের হওয়ার পর সাদ্দামকে কাউসার আল আমিনসহ কয়েকজন ধরে নিয়ে যায়। তারা তাকে ঢাকা কলেজের পুকুরপাড়ে নিয়ে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে তিনি গাঁজা ও ফেনসিডিল নিয়ে ঘোরেন বলে স্বীকারোক্তি দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে আরও মারধর করা হয়। তাকে তার বাসা থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে দিতে বলা হয়। এতেও রাজি না হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা মারধরের পর তিনি বিএনপি করে এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

এদিকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউসার আল আমিন। এই বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এই ছাত্রকে পুলিশে দেয়া হয়েছে কিছু তথ্য জানার জন্য। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানাবে কেন তাকে থানায় নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাস জানান, সাদ্দামের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।