ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তল্লাশিচৌকিতে নারীকে হেনস্তা, ৫ পুলিশ শনাক্ত

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ রামপুরায় তল্লাশির নামে নারীকে হয়রানির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগকে।

ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ও মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) চার কনস্টেবল রকিবুল, জিতু, তৌহিদুল ও মিজানুর।

২৩ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তল্লাশিচৌকিতে এক নারীকে পুলিশি হয়রানির ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আপলোড করেন একজন পুলিশ সদস্য। এতে একজন নারীকে তল্লাশি না করে অপ্রাসঙ্গিক ও আজেবাজে মন্তব্য করতে শোনা যায় পুলিশ সদস্যদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ রকম অসংবেদনশীল আচরণের জন্য পুলিশের সমালোচনা করেন বহু মানুষ।

গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) প্রথম আলোকে বলেন, সে রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি অন্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরায়। ওই রাতে কার কী দায়িত্ব ছিল এবং কে কী ভূমিকায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মতিঝিল বিভাগ প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার পর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) তদন্ত করবে।

জানা গেছে, ঘটনার শিকার নারী যে রাতে হেনস্তার শিকার হন, সে রাতে তল্লাশিচৌকিতে রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।। দলটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে ইকবালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঘটনার শিকার নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল বুধবার মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। আসক বলে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এ আচরণ সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারীদের মধ্যে পুলিশের প্রতি বিদ্যমান আস্থাহীনতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮
৮৬৩ Time View

তল্লাশিচৌকিতে নারীকে হেনস্তা, ৫ পুলিশ শনাক্ত

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ রামপুরায় তল্লাশির নামে নারীকে হয়রানির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগকে।

ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ও মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) চার কনস্টেবল রকিবুল, জিতু, তৌহিদুল ও মিজানুর।

২৩ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তল্লাশিচৌকিতে এক নারীকে পুলিশি হয়রানির ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আপলোড করেন একজন পুলিশ সদস্য। এতে একজন নারীকে তল্লাশি না করে অপ্রাসঙ্গিক ও আজেবাজে মন্তব্য করতে শোনা যায় পুলিশ সদস্যদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ রকম অসংবেদনশীল আচরণের জন্য পুলিশের সমালোচনা করেন বহু মানুষ।

গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) প্রথম আলোকে বলেন, সে রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি অন্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরায়। ওই রাতে কার কী দায়িত্ব ছিল এবং কে কী ভূমিকায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মতিঝিল বিভাগ প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার পর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) তদন্ত করবে।

জানা গেছে, ঘটনার শিকার নারী যে রাতে হেনস্তার শিকার হন, সে রাতে তল্লাশিচৌকিতে রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।। দলটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে ইকবালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঘটনার শিকার নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল বুধবার মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। আসক বলে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এ আচরণ সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারীদের মধ্যে পুলিশের প্রতি বিদ্যমান আস্থাহীনতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।