ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানকে বিপন্ন করতে সরকার কূটচাল চালছে: ফখরুল

Reporter Name

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনো বয়ে চলেছে। তাঁকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে দলটি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক–এগারোর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের পরে তাঁর বিরুদ্ধে চালানো হয় অপপ্রচারের ধারাবর্ষণ। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে ঘিরে বিছাতে থাকে নানা চক্রান্তজাল। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, অথচ দেশের কোথায়ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। পৈশাচিক, শারীরিক অত্যাচারে তাঁকে গুরুতর জখম করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নিমর্ম অত্যাচারে তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের ওপর নির্দয়-নির্যাতন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার প্রকাশ। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেপ্তার এবং চক্রান্তমূলক বানোয়াট মামলায় আটক করে তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে অভিযোগগুলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তী সময়ে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। আর সে জন্য জনগণ বিশ্বাস করে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

ফখরুল বলেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে ‘জনপ্রিয় জননেতা’ তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস এবারে যথাযথভাবে পালন করা যায়নি। কারণ, দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ। তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনো বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাঁকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চেলেই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী সরকারের বর্ধিতাংশ এক–এগারো সরকার। সুতরাং এক–এগারো সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে তারেক রহমানের ওপর আরও নানাভাবে নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিনব প্রয়োগ দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি আরও বলেন, এক–এগারো সরকার যে মামলায় তারেক রহমানের নাম অভিযোগপত্রে দিতে পারেনি, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সেই মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসার চরিতার্থেরই নামান্তর। অর্থাৎ নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোষের শিকার।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৯৪৮ Time View

তারেক রহমানকে বিপন্ন করতে সরকার কূটচাল চালছে: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনো বয়ে চলেছে। তাঁকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে দলটি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক–এগারোর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের পরে তাঁর বিরুদ্ধে চালানো হয় অপপ্রচারের ধারাবর্ষণ। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে ঘিরে বিছাতে থাকে নানা চক্রান্তজাল। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, অথচ দেশের কোথায়ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। পৈশাচিক, শারীরিক অত্যাচারে তাঁকে গুরুতর জখম করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নিমর্ম অত্যাচারে তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের ওপর নির্দয়-নির্যাতন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার প্রকাশ। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেপ্তার এবং চক্রান্তমূলক বানোয়াট মামলায় আটক করে তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে অভিযোগগুলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তী সময়ে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। আর সে জন্য জনগণ বিশ্বাস করে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

ফখরুল বলেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে ‘জনপ্রিয় জননেতা’ তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস এবারে যথাযথভাবে পালন করা যায়নি। কারণ, দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ। তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনো বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাঁকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চেলেই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী সরকারের বর্ধিতাংশ এক–এগারো সরকার। সুতরাং এক–এগারো সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে তারেক রহমানের ওপর আরও নানাভাবে নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিনব প্রয়োগ দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি আরও বলেন, এক–এগারো সরকার যে মামলায় তারেক রহমানের নাম অভিযোগপত্রে দিতে পারেনি, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সেই মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসার চরিতার্থেরই নামান্তর। অর্থাৎ নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোষের শিকার।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।