ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালাবদ্ধ ঘর থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের মসজিদ পাড়ার মৃত মহিউদ্দিন জোয়ার্দারের মেয়ে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, ভাড়া বাড়ির শয়নকক্ষের তালা ভেঙে গুলশান আরা চমন নামের ষাটোর্ধ এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিন দিন আগেই মারা গেছেন গুলশান আরা চমন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।

বাড়ির মালিক রেহেনা খাতুন ও তার প্রতিবেশীরা বলেছেন, সাত বছর ধরে একাই ভাড়া বাসায় থাকতেন গুলশান আরা চমন। তিন মাস আগে স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। তাকে এও বলা হয়, আপনি একা থাকেন, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাবেন, তাতে আপনার কিছু সমস্যা হলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব। কিন্তু, তিনি দরজা বন্ধ করে ঘুমাতেন। সোমবার দুপুরে কাজের বুয়া রিনা ঘরের খোলা জানালায় উঁকি দিয়ে দেখতে পান যে, ঘরের মেঝেতে রক্ত এবং গন্ধ বের হচ্ছে। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি বড় বোনকে (গুলশান আরা চমন) সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়িতে রেখে চলে গেছেন। এর পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

তালাবদ্ধ ঘর থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের মসজিদ পাড়ার মৃত মহিউদ্দিন জোয়ার্দারের মেয়ে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, ভাড়া বাড়ির শয়নকক্ষের তালা ভেঙে গুলশান আরা চমন নামের ষাটোর্ধ এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিন দিন আগেই মারা গেছেন গুলশান আরা চমন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।

বাড়ির মালিক রেহেনা খাতুন ও তার প্রতিবেশীরা বলেছেন, সাত বছর ধরে একাই ভাড়া বাসায় থাকতেন গুলশান আরা চমন। তিন মাস আগে স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। তাকে এও বলা হয়, আপনি একা থাকেন, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাবেন, তাতে আপনার কিছু সমস্যা হলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব। কিন্তু, তিনি দরজা বন্ধ করে ঘুমাতেন। সোমবার দুপুরে কাজের বুয়া রিনা ঘরের খোলা জানালায় উঁকি দিয়ে দেখতে পান যে, ঘরের মেঝেতে রক্ত এবং গন্ধ বের হচ্ছে। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি বড় বোনকে (গুলশান আরা চমন) সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়িতে রেখে চলে গেছেন। এর পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।

সবুজদেশ/এসএএস