ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিনদিন ছুটি, ঝিনাইদহে অফিসে দিনের বেলায় জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব!

 

একটানা তিনদিন সরকারি ছুটি। পুরোপুরি বন্ধ অফিস। নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি। তবুও দিনের আলো ফুঁড়ে জ্বলছে দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব! এমনই চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে।

সরেজমিনে রবিবার দুপুরে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের বাহিরে লাগানো দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব দিব্যি জ্বলছে। চারপাশে রোদের ঝলকানি থাকলেও আলো যেন নেভে না। বিস্ময় জাগানো এমন দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, এমন দায়িত্বহীনতা কি শুধুই ভুল, নাকি প্রশাসনিক উদাসীনতার নগ্ন চিত্র? সরকার একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি অফিসেই দিনের বেলায় অকারণে জ্বলতে থাকা বাল্ব বিদ্যুৎ অপচয়ের জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, “এটা তো একদিনের ব্যাপার নয়। প্রায়শই এমন দেখা যায়। কেউ দেখেও কিছু বলে না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের কি চোখে পড়ে না?” জনগণের করের টাকায় পরিচালিত এসব অফিসে এমন গাফিলতি নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ করে গোটা ব্যবস্থাপনাকে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার(এসও) বিকর্ণ সাহার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার সাহা জানান, ঘটনাটি সত্য হলে এটি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত। অফিস বন্ধ থাকার সময় কোনো বাল্ব যেনো না জ্বলে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অফিস সহকারী ও দারোয়ানকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আমরা বরাবরই আন্তরিক।

সবুজদেশ/টিপু/এসএএস

Tag :

তিনদিন ছুটি, ঝিনাইদহে অফিসে দিনের বেলায় জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব!

Update Time : ০৪:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

একটানা তিনদিন সরকারি ছুটি। পুরোপুরি বন্ধ অফিস। নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি। তবুও দিনের আলো ফুঁড়ে জ্বলছে দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব! এমনই চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে।

সরেজমিনে রবিবার দুপুরে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের বাহিরে লাগানো দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব দিব্যি জ্বলছে। চারপাশে রোদের ঝলকানি থাকলেও আলো যেন নেভে না। বিস্ময় জাগানো এমন দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, এমন দায়িত্বহীনতা কি শুধুই ভুল, নাকি প্রশাসনিক উদাসীনতার নগ্ন চিত্র? সরকার একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি অফিসেই দিনের বেলায় অকারণে জ্বলতে থাকা বাল্ব বিদ্যুৎ অপচয়ের জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, “এটা তো একদিনের ব্যাপার নয়। প্রায়শই এমন দেখা যায়। কেউ দেখেও কিছু বলে না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের কি চোখে পড়ে না?” জনগণের করের টাকায় পরিচালিত এসব অফিসে এমন গাফিলতি নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ করে গোটা ব্যবস্থাপনাকে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার(এসও) বিকর্ণ সাহার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার সাহা জানান, ঘটনাটি সত্য হলে এটি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত। অফিস বন্ধ থাকার সময় কোনো বাল্ব যেনো না জ্বলে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অফিস সহকারী ও দারোয়ানকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আমরা বরাবরই আন্তরিক।

সবুজদেশ/টিপু/এসএএস