ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ চক্ষু বিশেষজ্ঞ

Reporter Name

সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজার থেকে ভূয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল মালেককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ভূয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল মালেক (৫৫) শহরের মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা।

ঝাউডাঙ্গা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক বছর ধরে ঝাউডাঙ্গা বাজারে ঝাউডাঙ্গা ফার্মেসী নামে একটি চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করেন আব্দুল মালেক। চিকিৎসা ফি নেয় দুইশত টাকা। গত এক মাস আগে মাইকিং করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীদের আহ্বান করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে চেম্বারে গিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চাই।

তিনি আরও জানান, এ সময় আব্দুল মালেক চিকিৎসার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে বলে স্বীকার করে। তারপর ভারতে গিয়ে আয়ুর্বেদিক একটা সার্টিফিকেট করেছেন বলে জানায় আব্দুল মালেক। তবে তারও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ সময় গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে আব্দুল মালেক। পরে সদর থানার এসআই মানিক তাকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে সদর থানা পুলিশের এসআই মানিক বলেন, আব্দুল মালেক ভারতে লেখাপড়া করেছে বলে জানিয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভারতীয় একটি সার্টিফিকেট রয়েছে তার। সেটিও সঠিক কিনা যাচাই করা হয়নি। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০
৩৯৭ Time View

তিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ চক্ষু বিশেষজ্ঞ

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০

সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজার থেকে ভূয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল মালেককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ভূয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল মালেক (৫৫) শহরের মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা।

ঝাউডাঙ্গা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক বছর ধরে ঝাউডাঙ্গা বাজারে ঝাউডাঙ্গা ফার্মেসী নামে একটি চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করেন আব্দুল মালেক। চিকিৎসা ফি নেয় দুইশত টাকা। গত এক মাস আগে মাইকিং করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীদের আহ্বান করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে চেম্বারে গিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চাই।

তিনি আরও জানান, এ সময় আব্দুল মালেক চিকিৎসার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে বলে স্বীকার করে। তারপর ভারতে গিয়ে আয়ুর্বেদিক একটা সার্টিফিকেট করেছেন বলে জানায় আব্দুল মালেক। তবে তারও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ সময় গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে আব্দুল মালেক। পরে সদর থানার এসআই মানিক তাকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে সদর থানা পুলিশের এসআই মানিক বলেন, আব্দুল মালেক ভারতে লেখাপড়া করেছে বলে জানিয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভারতীয় একটি সার্টিফিকেট রয়েছে তার। সেটিও সঠিক কিনা যাচাই করা হয়নি। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।