একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস আগে এ নির্বাচনকে ঘিরে সব মহলের নজর এখন তিনি নগরীর দিকে। প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ ভোটের মাঠে ছড়াচ্ছে উত্তাপ।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট ছবিসহ ভোটার তালিকায় রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন একসঙ্গে নির্বাচন হয়। বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ওই নির্বাচনে অংশ নেন। তাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হন।
পাঁচ বছর পরে ২০১৩ সালের ১৫ জুন এই চার শহরে সর্বশেষ সিটি ভোটে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে।
গেল দুইবার নির্দলীয় প্রতীকে হলেও এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। খুলনার ভোট হয়েছে গত মে মাসে, তাতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, সিপিবি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল অংশ নিচ্ছে তিন সিটির ভোটে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশনও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সোমবারের নির্বাচন যাতে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৮ লাখ ৮২ হাজারেও বেশি ভোটার সোমবার তিন সিটির নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন। তিন সিটি মিলিয়ে ৩৯৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
এর মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। বাকি সব কেন্দ্রে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
মেয়র পদে তিন সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৯ জন। নির্বাচনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপির ১৭ হাজার ৪৮৭ জন সদস্য।
নির্বাচন পরিচালনায় থাকবেন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
আর বিভিন্ন সংস্থার ৬০৯ জন পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের ছয় শতাধিক সাংবাদিক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ইউএসএআইডি ও ডিআই-এর পর্যবেক্ষক থাকবেন ১৮ জন।
তিন নগরীতে এ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা।
তিন সিটির প্রার্থী যারা
বরিশাল
# সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ: দল আওয়ামী লীগ, প্রতীক নৌকা
# মো. মজিবর রহমান সরওয়ার: দল বিএনপি, প্রতীক ধানের শীষ
# আবুল কালাম আজাদ: দল সিপিবি, প্রতীক কাস্তে
# মনীষা চক্রবর্ত্তী: দল বাসদ, প্রতীক মই
# ওবাইদুর রহমান মাহাবুব: দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, প্রতীক হাতপাখা
# মো. ইকবাল হোসেন: দল জাতীয় পার্টি, প্রতীক লাঙ্গল
# বশীর আহমেদ ঝুনু: স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী), প্রতীক হরিণ
রাজশাহী
# এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন: দল আওয়ামী লীগ, প্রতীক নৌকা
# মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন: দল বিএনপি, প্রতীক ধানের শীষ
# মো. হাবিবুর রহমান: দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, প্রতীক কাঁঠাল
# মো. শফিকুল ইসলাম: দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, প্রতীক হাত পাখা
# মো. মুরাদ মোর্শেদ: স্বতন্ত্র প্রার্থী, প্রতীক হাতি
সিলেট
# বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান: দল আওয়ামী লীগ, প্রতীক নৌকা
# আরিফুল হক চৌধুরী: দল বিএনপি, প্রতীক ধানের শীষ
# মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান: দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, প্রতীক হাতপাখা
# মো. আবু জাফর: দল বাসদ, প্রতীক মই
# এহসানুল মাহবুব জুবায়ের: স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত নেতা), প্রতীক টেবিল ঘড়ি
# মো. বদরুজ্জামান সেলিম: স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) বাস
# মো. এহছানুল হক তাহের: স্বতন্ত্র প্রর্থী, প্রতীক হরিণ
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী সংখ্যা
সিটি
|
মেয়র প্রার্থী
|
সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী
|
সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী
|
মোট
|
রাজশাহী
|
৫
|
৫২
|
১৬০
|
২১৭
|
বরিশাল
|
৭
|
৩৫
|
৯৪
|
১৩৬
|
সিলেট
|
৭
|
৬৩
|
১২৭
|
১৯৬
|
ভোটার ও ভোট তথ্য
>> রাজশাহী: ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন।
সাধারণ ওয়ার্ড ৩০, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১০। ভোটকেন্দ্র ১৩৮ ও ভোটকক্ষ ১০২৬টি।
>> বরিশাল: ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।
সাধারণ ওয়ার্ড ৩০, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১০। ভোটকেন্দ্র ১২৩ ও ভোটকক্ষ ৭৫০টি।
>> সিলেট: ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।
সাধারণ ওয়ার্ড ২৭, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯। ভোটকেন্দ্র ১৩৪ ও ভোটকক্ষ ৯২৬টি।
>> ইভিএম: বরিশালে ১১টি কেন্দ্রে এবং সিলেট ও রাজশাহীতে দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।
আইন শৃঙ্খলা
তিন সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় তুলনামূলক বেশি সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
# ভোটের দুই দিন আগে থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত চার দিন ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর মোতায়েন থাকছেন।
# প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী হাকিম এবং প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। রাজশাহী ও বরিশালে ৪০ জন করে এবং সিলেটে ৩৯ জন হাকিম থাকছেন।
|
পুলিশ
|
র্যাব
|
বিজিবি টিম
|
ব্যাটালিয়ন আনসার
|
অঙ্গীভূত আনসার
|
রাজশাহী
|
৩০২২ জন
|
৩০টি দলে ৩৫০ জন
|
১৯ প্লাটুনে মোট ৩৯৬ জন
|
৫৪৬ জন
|
১৯৩২ জন
|
বরিশাল
|
২০১৩ জন
|
৩০টি দলে ৩৫০ জন
|
১৯ প্লাটুনে মোট ৩৯৬ জন
|
৪৩৭ জন
|
১৭২২ জন
|
সিলেট
|
৩৩৫০ জন
|
২৭টি দলে ৩১৭ জন
|
১৪ প্লাটুনে মোট ৩৬৬ জন
|
৪১৪ জন
|
১৮৭৬ জন
|
নিষেধাজ্ঞা
>> ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ ২৮ জুলাই রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি মিছিল-শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ থাকবে ১ অগাস্ট পর্যন্ত।
>> সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সিটি এলাকার বাসিন্দা নন এমন ব্যক্তিদের ২৭ জুলাই রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
>> প্রভাবশালীরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করলে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি।
>> ভোটের তিন দিন আগে থেকে ভোটের পরে আরও তিন দিন বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের জন্য অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়।
আয়োজনে, পর্যবেক্ষণে যারা
# নির্বাচনী কর্মকর্তা: রাজশাহীতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম; বরিশালে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান এবং সিলেটে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান রয়েছেন রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে।
তাদের সঙ্গে রাজশাহী ও বরিশালে ১০ জন করে এবং সিলেটে নয়জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন।
এছাড়া সহায়ক কর্মকর্তা রয়েছেন রাজশাহীতে ১২ জন, বরিশালে ১২ জন এবং সিলেটে ১১ জন।
# পর্যবেক্ষক: ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ইসির ৩৫ কর্মকর্তা। এর মধ্যে রাজশাহী ও বরিশালে ১২ জন করে এবং সিলেটে ১১ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন।
বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাজিয়ে রাখা এসব ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।
ফিরে দেখা
সিলেট
# সিলেট সিটি কর্পোরেশন কাজ শুরু করে ২০০২ সালে।
#২০০৮ সালে নির্বাচনে সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ১৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৭ জন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আনারস প্রতীকে পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ ফ ম কামাল পান ৩২ হাজার ৯৭ ভোট ভোট। ভোট পড়ার হার ছিল ৭৫%।
# ২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। মেয়র পদে তিন জন, সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৯ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের সমর্থন নিয়ে নাগরিক কমিটির প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এবং সম্মিলিত নাগরিক জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। ভোট পড়ে ৬২% ।
রাজশাহী
# ১৯৮৭ সালের ১ অগাস্ট রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়।
# ২০০৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে ১৫ জন, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার পদে ২০৩ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৯ জন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। ভোট পড়ার হার ছিল ৮১.৬১%।
# ২০১৩ সালের ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিন জন। সাধারণ ওয়ার্ডে ১৫৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। ভোট পড়ে ৭৬.০৯ %।
বরিশাল
# ২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়।
# ২০০৮ সালের ভোটে বরিশালের মেয়র পদে ১০ জন, কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন নির্বাচনে অংশ নেন। ভোটার ছিলেন এক লাখ ৭৯ হাজার ২৯৩ জন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ টেলিভিশন প্রতীকে ভোট পান ৪৬ হাজার ৭৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ ছাতা প্রতীকে পান ৪৬ হাজার ২০৮ ভোট। ভোট পড়ে ৮১.৯৯%।
# ২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৭ জন। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিন জন। সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
# মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরনকে ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল। ভোট পড়ে ৭২.১%।