তীব্র শীতের মধ্যেই পাটকল শ্রমিকদের অনশন অব্যাহত
খুলনাঃ
মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে। তীব্রশীতকে উপেক্ষা করে রাস্তায় রাত পার করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। অনাহার আর শীতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। অনশন শুরুর পর থেকেই এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনার প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, ইস্টার্ন, আলিম, ক্রিসেন্ট জুট, যশোরের জেজেআই, কার্পেটিং মিল শ্রমিকরা নিজ নিজ মিলগেটে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। তবে স্টার জুটমিল শ্রমিকরা খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে কর্মসূচি পালন করছেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম, নরসিংদী ও রাজশাহীর মিল গেটে এ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন অসংখ্য শ্রমিক।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের দাবি পূরণে সরকার ও বিজেএমসি সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ দেখাতে পারেনি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে ফের অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে পাটকলগুলো আধুনিকীকরণ, চাকরিতে শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, জুট গুডস ম্যান্ডেটরি অ্যাক্ট পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, বকেয়া পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকা প্রদান ইত্যাদি।
গতকাল রবিবার বেলা ২টায় গেট মিটিংয়ের মাধ্যমে এ কর্মসূচির ঘোষণা করে সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। খুলনার প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, ইস্টার্ন, আলিম, ক্রিসেন্ট জুট, যশোরের জেজেআই, কার্পেটিং মিল শ্রমিকরা স্ব স্ব মিলগেটে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। তবে স্টার জুট মিল শ্রমিকরা খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে কর্মসূচি পালন করছে।
শ্রমিকদের আন্দোলনে মিলগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে শ্রমিকরা মিছিল শ্লোগানে মুখর করে তুলেছেন শিল্প এলাকাগুলো। এলাকার দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জানান, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পাটকলের শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানসহ পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেও তাঁরা শ্রমিকদের দাবি বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে মিলের উৎপাপন বন্ধ রেখে আমরণ অনশনে অংশ নিচ্ছেন।
খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ’র সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, আমরণ অনশন চলছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।