ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের কাছ থেকে ট্যাংক কিনছে বাংলাদেশ?

সবুজদেশ ডেস্ক:

 

প্রতিরক্ষা খাতে সাড়া ফেলে দিয়েছে তুরস্ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন তুর্কি সামরিক সরঞ্জামের কদর বেড়েছে। বিশেষ করে তুরস্কের তৈরি সামরিক ড্রোন কিনতে উদগ্রীব হয়ে আছে বহু দেশ। বাংলাদেশও অনেক প্রতীক্ষার পর এই ড্রোন হাতে পেয়েছে। এবার গুঞ্জন উঠেছে, তুরস্কের কাছ থেকে ট্যাংক কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

খবর বের হয়েছে, তুরস্কের তৈরি ওতোকার তুলপার ট্যাংক কিনবে ঢাকা। চলতি বছরই নাকি বাংলাদেশে আসবে এই ট্যাংকের চালান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক এই ড্রোন কেনার খবর ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ওতোকার ওতোমোতিভ ভে সাভুনমা সানায়ি এ এস সংক্ষেপে ওতোকার নামেই পরিচিত। শোনা যাচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই ২৬টি তুলপার লাইট ট্যাংক কিনবে বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুধু বাংলাদেশই নয়, তুরস্ক তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির বাজারে পাকিস্তানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতেই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেছে ভারত। তবে বাংলাদেশ সত্যিই তুরস্কের ট্যাংক কিনছে কিনা, এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

বাংলাদেশের তুর্কি ট্যাংক কেনার বিষয়টি শুক্রবারই প্রকাশ্যে আসেন। এদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান টাইমস নাউয়ের একজন সাংবাদিক। বাংলাদেশের সম্ভাব্য এই ট্যাংক কেনা কী বার্তায় দেয়, তা-ও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।

জবাবে জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে কী ঘটছে, নয়াদিল্লি তার দিকেও ভারত নজর রাখছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

উল্লেখ্য, তুরস্কের স্থল বাহিনীর পরিবর্তিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে তুলপার ট্যাংকের ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্যাংক অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এক একটি তুলপার ট্যাংকের ওজন ৩০ থেকে ৪৫ টন পর্যন্ত হতে পারে।

এই ট্যাংকের টারেটে ১০৫ মিমি বা ১২০ মিমি স্মুথবোর মেইন গান লাগানোর সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একটি মেশিন গানও রয়েছে। এ ছাড়া এই ট্যাংকে একটি রিমোট কন্ট্রোলড উইপেন স্টেশন বা পিন্টল-মাউন্টেড মেশিন গানও সংযুক্ত করা যায়।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
৯ Time View

তুরস্কের কাছ থেকে ট্যাংক কিনছে বাংলাদেশ?

আপডেট সময় : ১০:১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

প্রতিরক্ষা খাতে সাড়া ফেলে দিয়েছে তুরস্ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন তুর্কি সামরিক সরঞ্জামের কদর বেড়েছে। বিশেষ করে তুরস্কের তৈরি সামরিক ড্রোন কিনতে উদগ্রীব হয়ে আছে বহু দেশ। বাংলাদেশও অনেক প্রতীক্ষার পর এই ড্রোন হাতে পেয়েছে। এবার গুঞ্জন উঠেছে, তুরস্কের কাছ থেকে ট্যাংক কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

খবর বের হয়েছে, তুরস্কের তৈরি ওতোকার তুলপার ট্যাংক কিনবে ঢাকা। চলতি বছরই নাকি বাংলাদেশে আসবে এই ট্যাংকের চালান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক এই ড্রোন কেনার খবর ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ওতোকার ওতোমোতিভ ভে সাভুনমা সানায়ি এ এস সংক্ষেপে ওতোকার নামেই পরিচিত। শোনা যাচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই ২৬টি তুলপার লাইট ট্যাংক কিনবে বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুধু বাংলাদেশই নয়, তুরস্ক তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির বাজারে পাকিস্তানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতেই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেছে ভারত। তবে বাংলাদেশ সত্যিই তুরস্কের ট্যাংক কিনছে কিনা, এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

বাংলাদেশের তুর্কি ট্যাংক কেনার বিষয়টি শুক্রবারই প্রকাশ্যে আসেন। এদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান টাইমস নাউয়ের একজন সাংবাদিক। বাংলাদেশের সম্ভাব্য এই ট্যাংক কেনা কী বার্তায় দেয়, তা-ও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।

জবাবে জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে কী ঘটছে, নয়াদিল্লি তার দিকেও ভারত নজর রাখছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

উল্লেখ্য, তুরস্কের স্থল বাহিনীর পরিবর্তিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে তুলপার ট্যাংকের ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্যাংক অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এক একটি তুলপার ট্যাংকের ওজন ৩০ থেকে ৪৫ টন পর্যন্ত হতে পারে।

এই ট্যাংকের টারেটে ১০৫ মিমি বা ১২০ মিমি স্মুথবোর মেইন গান লাগানোর সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একটি মেশিন গানও রয়েছে। এ ছাড়া এই ট্যাংকে একটি রিমোট কন্ট্রোলড উইপেন স্টেশন বা পিন্টল-মাউন্টেড মেশিন গানও সংযুক্ত করা যায়।

সবুজদেশ/এসইউ