ত্রাণ নেয়ার সময় ক্যামেরার দিকে না তাকানোয় চেয়ারম্যানের নির্যাতন!
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সারাবিশ্বে যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এই ক্রান্তিলগ্নে ঘরবন্দি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে অনেকেই। বিশেষ করে অসহায়, দুস্থ ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ পরেছে বিপাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছে।
সেই ত্রান বিতরণের সময় ক্যামেরার দিকে না তাকানো ও ছবি না তোলায় অসহায় দুস্থ ও দিনমজুর মানুষের সাথে দূর্ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস।
গতকাল শুক্রবার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনি তার নিজ কার্যালয়ে এ কান্ড ঘটিয়েছেন। মহিউদ্দিন বিশ্বাস কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াররম্যান তিনি। এঘটনায় একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণে তার দায়িত্ব কর্তব্য ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শারীরিক নির্যাতনের ২মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ত্রাণ বিতরণের সময় ক্যামেরার দিকে না তাকানো এবং চেয়ারম্যানের মতমত না হওয়ায় একের পর এক তিনি অসহায় মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন। এমনকি গায়ে হাতও তুলছেন। আবার মুখ থেকে হাত দিয়ে আঘাত করে মাস্ক ফেলে দিচ্ছেন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। অনেকেই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, ওই চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু বলেন,ভিডিওটি আমি নিজেও দেখেছি। আসলেই বিষয়টি দুঃখজনক। একজন চেয়ারম্যানের এমন আচরণ ও দুর্ব্যবহার কোনমতেই কাম্য নয়। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো.আসলাম হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিও দেখুন…