থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার
খুলনাঃ
থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে পুরো নগরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি হোটেল, ক্লাব ও বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চলছে। এছাড়া টহলে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নগরের রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ী মোড়, গল্লামারী, সোনাডাঙ্গা, জিরোপয়েন্ট, রূপসা ট্রাফিক মোড়, গোয়ালখালী মোড়, জোড়াগেট, বয়রা কলেজ মোড়, বয়রা বাজার, নতুন রাস্তা মোড়, দৌলতপুর বিএল কলেজ গেট, খালিশপুর মিল এলাকা, শিরোমণিসহ অসংখ্য স্পটে পুলিশ ও র্যাবের টহল দেখা গেছে। এছাড়া হোটেল, ক্লাব ও বিনোদন কেন্দ্রে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা নজরদারি করছে বলে কেএমপি সূত্র জানিয়েছে।
কেএমপির স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে জানায়, থার্টি ফাস্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নগরীতে কোথাও আতশবাজি, পটকা বা বিস্ফোরক ফোটানোর নিষেদ্ধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাড়ির ছাদে উচ্ছৃঙ্খল আচারণের মাধ্যমে যাতে জনজীবন বিপন্ন বা শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় সেজন্য সকলকে ইতো:পূর্বে সতর্ক করা হয়েছে। শান্তি বিরোধী কার্যকলাপে যদি কেও লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কেএমপির ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, নগরীতে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও সাদা পোষাকে নজরদারি করছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে যাতে জনজীবন বিপন্ন বা শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত কোন কর্যকলাপ না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছেন কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বিপিএম।