ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দায়িত্ব থেকে সরানো হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের শাহ আলমকে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, বর্তমান নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমের অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শাহ আলম এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তার সে দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

গত বুধবার আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের স্বীকারোক্তিকে ভিত্তি করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শাহ আলমকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দেওয়া হতো। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদেরও পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দেওয়া হতো। গত বুধবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক পাঁচদিনের রিমান্ডে নিলে তিনদিনের মাথায় গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক ওই জবানবন্দি দেন তিনি।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদুল হক বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দিতে হতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা করে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অনিয়ম ম্যানেজ করতেন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
২৯২ Time View

দায়িত্ব থেকে সরানো হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের শাহ আলমকে

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, বর্তমান নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমের অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শাহ আলম এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তার সে দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

গত বুধবার আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের স্বীকারোক্তিকে ভিত্তি করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শাহ আলমকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দেওয়া হতো। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদেরও পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দেওয়া হতো। গত বুধবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক পাঁচদিনের রিমান্ডে নিলে তিনদিনের মাথায় গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক ওই জবানবন্দি দেন তিনি।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদুল হক বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দিতে হতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা করে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অনিয়ম ম্যানেজ করতেন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।