খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কৃর্তিকা ত্রিপুরা ওরফে পূর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে দীঘিনালা থানার এএসআই আবদুল জব্বার জানান।
কৃর্তিকা ওই এলাকার নরোত্তম ত্রিপুরার মেয়ে। সে নয় মাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এএসআই আবদুল জব্বার বলেন, শনিবার দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল থেকে বাড়িতে খাবার খেতে আসে কৃর্তিকা। খাবার খেয়ে আবার স্কুলে রওনা হয় সে।
সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কৃর্তিকা আর স্কুলে যায়নি। পরে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হলে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এ পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে কৃর্তিকার হাত কাটা ও বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান এসআই।
তিনি বলেন, “নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে আলামত পাওয়া গেছে।”
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী রোববার সকাল ৮টার দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়ক অবরোধ করে। এতে সাড়ে চার ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।