ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুইদিন সর্দি, কাশি হওয়ায় গৃহবধুকে গ্রামছাড়া করল প্রতিবেশীরা

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

দুইদিন সর্দি, কাশি থাকায় এক গৃহবধুকে এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে প্রতিবেশী গ্রামবাসীরা। সাত বছর একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন ওই গৃহবধু। পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধু (৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মানস কুমার জানান, ওই গৃহবধুর দুই দিন আগে সর্দি ও কাশি হয়। করোনা সন্দেহে আজ গ্রামের প্রতিবেশীরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার স্বামী কক্সবাজারে চাকুরি করেন বলে ওই গৃহবধু জানিয়েছেন। সাত বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে তার।

চিকিৎসক আরও জানান, দুপুরের দিকে ওই গৃহবধু হাঁটতে হাঁটতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। কাছে টাকাও নেই। এরপর তাকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। রোগীর সিমটম দেখে করোনা মনে হচ্ছে না। আবহাওয়া জনিত কারণে বা অন্য কারণে তার সর্দি, কাশি হতে পারে। তবুও আগামীকাল (বুধবার) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার নমুনা আইইডিসিআরকে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
৩২৮ Time View

দুইদিন সর্দি, কাশি হওয়ায় গৃহবধুকে গ্রামছাড়া করল প্রতিবেশীরা

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

দুইদিন সর্দি, কাশি থাকায় এক গৃহবধুকে এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে প্রতিবেশী গ্রামবাসীরা। সাত বছর একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন ওই গৃহবধু। পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধু (৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মানস কুমার জানান, ওই গৃহবধুর দুই দিন আগে সর্দি ও কাশি হয়। করোনা সন্দেহে আজ গ্রামের প্রতিবেশীরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার স্বামী কক্সবাজারে চাকুরি করেন বলে ওই গৃহবধু জানিয়েছেন। সাত বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে তার।

চিকিৎসক আরও জানান, দুপুরের দিকে ওই গৃহবধু হাঁটতে হাঁটতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। কাছে টাকাও নেই। এরপর তাকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। রোগীর সিমটম দেখে করোনা মনে হচ্ছে না। আবহাওয়া জনিত কারণে বা অন্য কারণে তার সর্দি, কাশি হতে পারে। তবুও আগামীকাল (বুধবার) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার নমুনা আইইডিসিআরকে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।