ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর আজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি কার্যকর করা হবে আজ।

যশোর কারাকর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাত পৌনে ১১টায় তাদের দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে। 

শেষবারের মতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টুর সঙ্গে শনিবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করে তার পরিবার। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়।  হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয় ওই দুই নারীকে। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন— একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন আসামি মহি মারা যান।

২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এর পর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন। 

২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এ বছরের ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়। 

Tag :

দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর আজ

Update Time : ১১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি কার্যকর করা হবে আজ।

যশোর কারাকর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাত পৌনে ১১টায় তাদের দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে। 

শেষবারের মতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টুর সঙ্গে শনিবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করে তার পরিবার। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়।  হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয় ওই দুই নারীকে। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন— একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন আসামি মহি মারা যান।

২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এর পর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন। 

২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এ বছরের ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়।