দুদকের যে ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হবে, সেভাবেই সাজা
দুদক সংস্কার কমিশনের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল বলেছেন, দুদকের আইনের কাছে যে আসামি সে আসামি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দুর্নীতি করেননি, যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে অনেকগুলো অপরাধ প্রমাণিত হবে। যে আইনের ধারায় যে অপরাধ প্রমাণিত হবে তাকে সেভাবেই শাস্তি পেতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অচিন্তানগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ছাই কারখানার উৎপাদন মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফারহানা শারমিন কাঁকন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, উপদেষ্টা আতাউর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, যারা দুদক অফিসে আগে ছিলেন এবং এখনও আছেন এই জায়গাটাকে ঠিক করতে না পারলে সিস্টেম ঠিক করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, এসব বিষয়ে অনেক তদন্ত হচ্ছে। এগুলো যেন লোক দেখানো না হয় সে ব্যাপারে আমাদের প্রস্তাবনা অবশ্যই থাকবে। কারণ আইন থাকলেই হবে না প্রয়োগের জায়গাটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দুদকে সমস্যা দুদিকেই আছে। দুদকের যারা ইন্টারনাল অফিসার আছেন তাদের অধিকাংশেরই অভিযোগ থাকে যে, যারা ডেপুটেশনের আসেন তারা দুর্নীতিকে সঙ্গে করেই আসেন। তবে ইন্টারনাল অফিসাররা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে তা নয়। প্রধান দিক হচ্ছে মানসিকতা, যে দুর্নীতি করার সুযোগটা আছে কি না। তবে ডেপুটেশন থেকে আসা অফিসারদের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ যে তারা নিজস্ব বিভাগের দুর্নীতিকে তদন্ত পর্যন্ত যেতে দেয় না, দুদক কে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ভাবে না। আমাদের চেষ্টা চলছে দুদককে ঢেলে সাজানোর জন্য এমন প্রস্তাবনা দেবো, যেন তার বাস্তবায়ন হয়, দুদক সকল ক্ষেত্রে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে পারে।
এর আগে ফ্যাক্টরিতে ঘুরে দেখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার কমিশনের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুলসহ অন্যরা। পরে উদ্বোধনী মৌসুম উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলেও অংশ নেন তারা।
সবুজদেশ/এসইউ