ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় দফায় আমরণ অনশনে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা

Reporter Name

ফাইল ফটো

খুলনাঃ

তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই আবারও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা।

মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) বাতিল, পাটক্রয়ে অর্থ বরাদ্দসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনায় দ্বিতীয় বারের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।

গতকাল রোববার দুপুর ২টা থেকে নগরীর খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে স্ব-স্ব মিলগেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এতে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে আন্দোলন কর্মসূচিতে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

অনশনে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন ও আলিম জুট মিলের কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে একই দাবিতে টানা চারদিন অনশন পালন করে শ্রমিকরা।

সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, চলমান সংকট সমাধানে ১৫ ডিসেম্বর বিজেএমসিতে ও ২৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। মন্ত্রণালয় বার বার আশ্বাস দিলেও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু, পাটখাতকে ধংস করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আবারো আন্দোলনে নেমেছে।

জানা যায়, বর্তমানে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে কর্মরত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মজুরি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনা ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ন্যায্য মজুরি-বেতন না পেয়ে শ্রমিক-কর্মচারিরা মানবেতন জীবন-যাপন করছেন।

পাটকল সিবিএ শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, ১ম দফায় অনশনে খুলনায় দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শ্রমিকের পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই। কিন্তু মন্ত্রণালয় আলোচনার নামে বার বার সময়ক্ষেপন করছে। এতে হতাশ শ্রমিকরা দাবি আদায়ের আন্দোলনে আবারো রাজপথে নেমেছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯
৩০৪ Time View

দ্বিতীয় দফায় আমরণ অনশনে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

খুলনাঃ

তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই আবারও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা।

মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) বাতিল, পাটক্রয়ে অর্থ বরাদ্দসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনায় দ্বিতীয় বারের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।

গতকাল রোববার দুপুর ২টা থেকে নগরীর খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে স্ব-স্ব মিলগেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এতে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে আন্দোলন কর্মসূচিতে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

অনশনে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন ও আলিম জুট মিলের কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে একই দাবিতে টানা চারদিন অনশন পালন করে শ্রমিকরা।

সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, চলমান সংকট সমাধানে ১৫ ডিসেম্বর বিজেএমসিতে ও ২৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। মন্ত্রণালয় বার বার আশ্বাস দিলেও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু, পাটখাতকে ধংস করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আবারো আন্দোলনে নেমেছে।

জানা যায়, বর্তমানে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে কর্মরত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মজুরি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনা ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ন্যায্য মজুরি-বেতন না পেয়ে শ্রমিক-কর্মচারিরা মানবেতন জীবন-যাপন করছেন।

পাটকল সিবিএ শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, ১ম দফায় অনশনে খুলনায় দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শ্রমিকের পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই। কিন্তু মন্ত্রণালয় আলোচনার নামে বার বার সময়ক্ষেপন করছে। এতে হতাশ শ্রমিকরা দাবি আদায়ের আন্দোলনে আবারো রাজপথে নেমেছেন।